যাঁদের গ্যাসট্রাইটিস, আলসার ইত্যাদি অসুখ আছে, তাঁদের রোজায় বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
গ্যাসট্রাইটিস হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহজনিত অসুখ। আর আলসার হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ঘা-বিশেষ। উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোজায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
যাঁদের গ্যাসট্রাইটিস, আলসার ইত্যাদি অসুখ আছে, তাঁদের রোজায় বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
গ্যাসট্রাইটিস হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহজনিত অসুখ। আর আলসার হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ঘা-বিশেষ। উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোজায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ইফতারের সময় অল্প অল্প করে খেতে হবে। পেট পুরে খাওয়া চলবে না। একটু বিরতি দিয়ে দিয়ে পানি পান করতে হবে। ইফতারে যত হালকা খাবার খাবেন, পরিপাকতন্ত্র ততই ভালো থাকবে।
এড়িয়ে চলুন
* যাঁদের এসিডিটি, আলসার, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা আছে বা রোজা রাখলে অনুভব করেন, তাঁরা ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার, টক ফল যেমন—লেবু, আঙুর, কমলা ও টমেটোযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
* অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কৌটা বা টিনে প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণ উচ্চমাত্রার প্রিজারভেটিভ বা খাদ্য সংরক্ষক থাকে, যা এসিডিটি, বুকজ্বলা, আলসারের সমস্যা বাড়ায়।
* অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (যেমন বিস্কুট) এড়িয়ে চলুন।
* সাহরি ও ইফতারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিন।
* এড়িয়ে চলুন চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকস।
* ধূমপানের সঙ্গে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ধূমপান পুরনো আলসারের ক্ষত বাড়ায়, নতুন আলসার সৃষ্টি করে। তাই এটি পরিহার করুন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন
* আঁশযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন—লাল চাল, লাল আটা, বিট, যব ইত্যাদি। এগুলো খেলে ক্ষুধাও খুব কম অনুভূত হয়।
* ইফতারে মিষ্টি বা উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে খেজুর খান। কারণ খেজুরে আছে চিনি, আঁশ, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান।
* কলা কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।
* তেলেভাজা খাবারের বদলে ওভেনে গ্রিল করা খাবার খান।
* সাহরিতে এক গ্লাস দুধ খেলে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের উপসর্গ কমে যায়।
মনে রাখুন
* খাবার চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়া করে খাবার খাবেন না।
* সাদা চালের ভাত ও সাদা আটার তৈরি রুটি-পাউরুটি না খাওয়াই ভালো।
* পেটে গ্যাস, বারবার টক ঢেকুর ওঠা, বমি ও বমিবমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ক্ষুধামান্দ্য, পেটব্যথা, বুকজ্বলা, মাথাব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে বুঝতে হবে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে।
সতর্কতা অবলম্বনের পরও যদি এসিডিটি, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা হতেই থাকে তবে ওষুধের সাহায্য নিন। তীব্র ব্যথা, বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, পায়খানা কালচে হওয়ার মতো লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মায়োক্লিনিক অবলম্বনে
দাওয়াই ডেস্ক
সম্পর্কিত খবর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।
রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।