কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনের প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল সিলেট জেলা বিএনপি। ১৫১ সদস্যের ঘোষিত জেলা কমিটির ১ নম্বর সদস্য রাখা হয়েছে বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীকে। কমিটির ২ নম্বর সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
রবিবার রাত ১০টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে এই কমিটি অনুমোদিত হয়।
এতে সব মিলিয়ে বিভিন্ন পদে ১৫১ জনের নাম রয়েছে। উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ৯১ জন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘গত বছরের ২৯ মার্চ সম্মেলন করে সরাসরি ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করেছিলেন কাউন্সিলররা। গতকাল সোমবার কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
’
দেখা গেছে, ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটিতে ২০ জন সহসভাপতি, ১২ জন যুগ্ম সম্পাদক এবং পাঁচজন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে। কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও ৩১ জন সম্পাদকীয় পদে ঠাঁই পেয়েছেন। অন্যরা সহসম্পাদক ও সদস্য পদে রয়েছেন। নির্বাহী কমিটিতে সাত নারী এবং একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতা ঠাঁই পেয়েছেন।
‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীও কমিটিতে : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে ‘নিখোঁজ’ হন। প্রায় ১১ বছর ধরে তিনি ‘নিখোঁজ’ থাকলেও রবিবার ঘোষিত সিলেট জেলা কমিটিতে তাঁকে ১ নম্বর সদস্য রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “আমরা এখনো বিশ্বাস করি, ইলিয়াস আলী জীবিত আছেন। মূলত সরকার তাঁকে ‘গুম’ করে রেখেছে।” তিনি আরো বলেন, ‘ইলিয়াস আলী একসময় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
সব দিক বিবেচনা করে তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’