আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রাখতে চায় এবং নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা কখনো ওইভাবে নির্বাচন করতে দেবে না। তারা নিজের ভোট নিজে দিতে চায় এবং তাদের প্রতিনিধি নিজেই নির্বাচন করতে চায়।
এসব কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি গতকাল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকায় নিজের বাসভবনে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভা শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ের সাম্প্রদায়িক ঘটনায় দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সরকারের মদদপুষ্ট একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের আগে মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য যখন গণ-আন্দোলন শুরু করেছে, ঠিক তখন সরকার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায় এবং বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়ের ঘটনার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন—বিএনপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, এটি পরিকল্পিত এবং তারা বিএনপিকে দোষারোপ করতে চায়, যা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। সরকার জলসা করার অনুমতি দিয়ে যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন ছিল, তা দেয়নি।
এবং ঘটনার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।’ ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয় এবং সেই মোতাবেক তাদের বাড়িতে অমানবিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর করা হয়।