সবচেয়ে বেশি সময় সক্রিয় থাকা ব্যবহারকারীর তালিকা প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এই তালিকায় শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এই তথ্য জানায়।
মেটার তথ্য অনুসারে, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী বৃদ্ধিতে শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
মেটার প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান প্রথম। ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিলিপাইন এবং তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশে কতসংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি মেটা।
মেটা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২১ সালে এই সময়ে যতসংখ্যক ব্যবহারকারী ছিল, ২০২২ সালে এসে তা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে উঠে এসেছে।’ মেটা আরো বলেছে, ২০২২ সালে ভারত, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ একবার হলেও ফেসবুকে প্রবেশ করেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকে দৈনিক গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৯৩ কোটি।
সে বছরের তুলনায় গত ডিসেম্বরে এই সংখ্যা বেড়েছে সাত কোটি, যা প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। মেটা বলছে, মূলত এই তিনটি দেশের নাগরিকদের জন্যই ফেসবুকের গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
মেটা আরো জানিয়েছে, ভারত ও তুরস্কের মতো কিছু দেশ ডাটা নিয়ন্ত্রণ শর্ত, স্থানীয় স্টোরেজ ও প্রসেসিংয়ে বিধি-নিষেধ বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা কার্যকরের শর্ত দিয়েছে বা কার্যকরের পরিকল্পনা করছে। ফলে এসব দেশে মেটার স্বাভাবিক সেবা ও কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বা কার্যক্রম চালানোর ব্যয় বেড়েছে। শর্তের কারণে কিছু দেশে ‘নির্দিষ্ট সেবা স্থগিত’ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা, কিংবা ভোগ করতে হচ্ছে জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে ‘ইয়ার অব ইফিশিয়েন্সি’ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।
২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় চার কোটি ৪৭ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে।