বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ছিল অন্যতম প্রধান মাইলফলক। উনসত্তরের তীব্র গণ-আন্দোলনের ফলেই পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব অভিযুক্তকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সেই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও সঠিক পরিচয় আজও জানা যায়নি। এমন প্রেক্ষাপটেই আজ ২৪ জানুয়ারি পালিত হচ্ছে গণ-অভ্যুত্থান দিবস।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ
পাঁচ দশকেও জানা যায়নি শহীদের প্রকৃত সংখ্যা
তাসীন মল্লিক, খায়রুল কবির চৌধুরী

উনসত্তরের অভ্যুত্থানের শহীদদের মধ্যে মূলত জানা যায় আসাদ, মতিউর, জহুরুল হক, শামসুজ্জোহাসহ তিন-চারজনের নাম। অগ্নিঝরা সেই দিনগুলোতে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে স্বাধিকারের আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু ঐতিহাসিক সেই পর্বের ৫৩ বছর পরও সরকারি বা বেসরকারিভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা বা স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো পূর্ণাঙ্গ উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রের দ্বিতীয় খণ্ডে সমকালীন পত্রপত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাবলির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান তীব্র রূপ ধারণ করে জানুয়ারির ২০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র আমানুল্লাহ মো. আসাদুজ্জামানের (আসাদ) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ‘উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে ২২ জন নিহত হয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ সময়ের অনেক ইতিহাসসংক্রান্ত গবেষণামূলক গ্রন্থ বা স্মৃতিচারণায় সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বা নাম-পরিচয় অনুপস্থিত।
গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিভিন্ন লেখায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারির হরতালে অন্তত সাতজন শহীদের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ২৪ তারিখ হরতালে সেনাবাহিনী, ইপিআর ও পুলিশের যত্রতত্র চালানো গুলিতে শহীদ হন মতিউর, মকবুল, আনোয়ার, রুস্তম, মিলন, আলমগীর, আনোয়ারাসহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কোনো রাষ্ট্রীয় হিসাব আছে বলে আমার জানা নেই। তাঁদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ অবশ্যই নেওয়া উচিত।’
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।