ফুটপাতে পথচারী হাঁটার জায়গায় একের পর এক অবৈধ অস্থায়ী দোকান। কোনোটি ভাতের হোটেল, কোনোটি চায়ের দোকান, আবার কোনোটি সিগারেট বা ভাজাপোড়া বিক্রির। কোথাও কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকান চলে গেছে সড়কে। বাধ্য হয়ে পথচারীদের ফুটপাত ছেড়ে হাঁটতে হয় সড়ক দিয়ে।
ধানমণ্ডি
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা
- ♦ দোকান থেকে দৈনিক ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন
- ♦ রাত হলেই বহিরাগত মাদক বিক্রেতাদের আনাগোনা
জহিরুল ইসলাম

এমন দৃশ্য রাজধানীর ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায়। ধানমণ্ডি ১ থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত বেশির ভাগ সড়কের পাশেই এমন চিত্র। ফুটপাত দখলের কারণে যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে ধানমণ্ডির বাসিন্দারা।
সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে তিন দিন ধানমণ্ডি থানা, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ধানমণ্ডি সোসাইটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মাসুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধানমণ্ডিতে ফুটপাতের দোকান অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলোও ওঠানো হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানমণ্ডি ২ নম্বরের ইয়োলো বিক্রয়কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ভাতের হোটেল বসানো হয়েছে।
শিপন তালুকদার নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘কামরাঙ্গীর চর আর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে কিছু ছেলে আসে মোটরসাইকেলে। তারা ফুটপাতের দোকানিদের সঙ্গে মিলে এলাকায় মাদক ছড়াচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’
ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের বাইতুল আমান মসজিদের মোড়ে নিয়মিতভাবে কিছু ট্রাক রাখায় স্কুল ও অফিসগামী মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ধানমণ্ডি ১৩ নম্বরের তেহারির গলিতে সকাল-সন্ধ্যায় বসে অবৈধ দোকান। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের ভেতরেও একইভাবে ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা। শেখ কামাল মাঠের চারপাশেও রয়েছে এমন অনেক দোকান। ধানমণ্ডির ১ থেকে ৩২ নম্বর পর্যন্ত চার শতাধিক অবৈধ দোকান ফুটপাত দখল করে রাস্তায় যানজট বাড়াচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছে, ফুটপাত ও রাস্তা হকারদের দখলে থাকায় ধানমণ্ডিবাসী মারাত্মক সমস্যায় পড়ছে। প্রতিনিয়ত যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। কিছু কিছু হকার এলাকায় চুরি, মাদকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে। ফুটপাত দখলকারীদের অরাজকতায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। অভিযোগ আছে, অবৈধ এসব দোকান থেকে বেলাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা তোলা হয়। চার শতাধিক দোকান থেকে প্রতিদিন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা তোলা হয়, যা মাসিক হিসাবে দাঁড়ায় প্রায় ছয় লাখ টাকা। সকাল-বিকেল পালা করে চাঁদার টাকা তোলেন কামাল, লিটন, রিপন, নাজমুল, সোহাগ ও বিল্লাল। তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। জানতে চাইলে সোহাগ নামের এক লাইনম্যান বলেন, ‘ধানমণ্ডির ১ নম্বরের ফুটপাতে আমার ভাতের হোটেল আছে।’ টাকা তোলার বিষয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি তো টাকাটোকা তুলি না। কাউরে টাকা দিইও না। যারা বলছে আমি টাকা তুলি, তারা মিথ্যা বলছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধানমণ্ডির ভেতরে ফুটপাতে আর কোনো দোকান বসতে দেওয়া হবে না। দোকানদাররা কাদের চাঁদা দিয়ে দোকান চালান সেটা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু কেউ নাম বলতে চাননি।’
সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।