দেশের তিন জেলায় পানিতে ডুবে পাঁচজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল ও গাইবান্ধায় নিহত হয়েছে দুজন করে শিশু, যারা পরস্পর চাচাতো এবং মামাতো-ফুফাতো ভাই। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে নেত্রকোনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ—
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মধুপুর থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। জানতে পারি, পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মাছ ধরতে যায় লিমন, তানভীর ও জিহাদ। তাদের মধ্যে তানভীর ও জিহাদ পুকুরে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়। এ সময় অপর শিশু লিমন বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। ’
স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ অভিভাবকদের জিম্মায় পরিবারের কাছে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
মধুপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাইবান্ধা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে আহসান মিয়া (৫) ও বায়োজিদ হোসেন (৪) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দুপুরে খামার ধুবনি গ্রামের সুজন মিয়ার পুকুরে। আহসান উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সমস গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং বায়োজিদ হোসেন খামার ধুবনি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে নুসরাত জাহান (সাবিকুন্নাহার) নামের তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নে বিশাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বিশাড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার সন্তান। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নুসরাত জাহান শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে সে পরিবারের অজান্তে বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে পড়ে যায়।