ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

নৌকার প্রার্থীরাই শেষ পর্যন্ত ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত’ থাকছেন

  • মনোহরগঞ্জের তিন ইউপি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
নৌকার প্রার্থীরাই শেষ পর্যন্ত ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত’ থাকছেন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সেই তিন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ আর হচ্ছে না। ফলে নৌকা প্রতীকের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীই ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত’ থাকছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ওই তিন ইউনিয়নে চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনগত কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে চার প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এক আদেশে গত মঙ্গলবার ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

ইউপি নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা। উপজেলার ১১টি ইউপির সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের গত ১৪ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। এরই মধ্যে ঝলম উত্তর, লক্ষ্মণপুর ও সরসপুর—এই তিন ইউনিয়নের চারজন প্রার্থী গত ২০ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। নানা নাটকীয়তার পর ২৫ জানুয়ারি তাঁদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

ওই চারজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন—ঝলম উত্তর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সরসপুর ইউনিয়নে গোলাম সরওয়ার মজুমদার ও জসিম উদ্দিন এবং লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নে আবদুল বাতেন।

চার স্বতন্ত্র প্রার্থী রিট আবেদন করে উচ্চ আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত নৌকার তিন প্রার্থী।

গত মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

এ অবস্থায় বুধবার রিটার্নিং অফিসার রাজিবুল করিম জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ইসি থেকে তাঁদের জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া এক চিঠিতে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ইসির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সহিদ আব্দুস ছালাম। শুক্রবার ওই চিঠির একটি কপি কালের কণ্ঠের হাতে এসেছে। সেখানে সহিদ আব্দুস ছালাম উল্লেখ করেছেন, ওই চার প্রার্থীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তা ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

এ কারণে ১৩ জানুয়ারি দেওয়া আগের আদেশের কার্যকারিতা বর্তমানে বহাল ও বলবৎ নেই। এ জন্য ওই চার প্রার্থীর ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনগত কোনো সুযোগ নেই মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাকে বলেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের পরের স্থগিত আদেশের কারণে ওই চার প্রার্থীর সব কিছুই এখন বাতিল হয়ে গেছে। যার কারণে ওই তিনটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতই থাকছেন।   

গতকাল বিকেলে এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন হলে ওই প্রার্থীরা জামানত হারাবেন। এ জন্য তাঁরা নির্বাচনকে এত ভয় পান। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারা আমাদের নাগরিক অধিকার। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে আইনগতভাবেই শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

আগামী ৩১ জানুয়ারি মনোহরগঞ্জের ভোট হবে। গত ১৮ ডিসেম্বর এই উপজেলার ১১টি ইউপির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ৩ জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই হয়। ১৩ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ