পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলা করে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। কিন্তু এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্বস্তিতে নেই। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, জমি দখলসহ নানা নির্যাতন বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০১ সালে নির্বাচন-পরবর্তী ন্যক্কারজনক সহিংসতা নিয়ে সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ ধিক্কার জানালেও অপরাধীদের একজনকেও শাস্তি দেয়নি চারদলীয় জোট বা বর্তমান সরকার। হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন যাবৎ সংখ্যালঘু নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, প্রেসিডিয়াম সদস্য অভয় কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব ফণী গোপাল দাস, সহদপ্তর সম্পাদক কল্যাণ মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষে উল্লিখিত তথ্যগুলো কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘এসব তথ্য কোনো প্রতিষ্ঠান করেনি। আমাদের ৬৪টি জেলায় নিজস্ব কর্মীরা এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া পত্রপত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ’