ঢাকা গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কুশল কর্মকার। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চে বেতাগীতে তাঁর বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হন। রাতে যে সময় সব কিছু আগুনে পুড়ছে, ঠিক তখনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কনকনে শীতে নদীতে ঝাঁপ দেন কুশল। পরনের সব পোশাক খুলে ফেলেন।
বিজ্ঞাপন
এরপর আধাঘণ্টা নদীতে সাঁতার কাটতে থাকেন তিনি। এ সময় একটি তেলাবাহী জাহাজ তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় ঠাণ্ডায় কথা না বলতে পারলেও হাতের ইশারা করে জাহাজটিকে থামতে বলেন কুশল। তাঁর ইশারা বুঝে জাহাজের মানুষ তাঁকে তুলে নেন এবং গরম পোশাক পরতে দেন। এ সময় তাঁর বাবা কৃষ্ণ কর্মকারকে ফোন দিয়ে জানানো হলে তিনি কুশলকে বেতাগী শহরের নিয়ে আসেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় কুশলের বাবা এসব কথা জানান। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বাঁচিয়েছেন ঈশ্বর, ঈশ্বর বাঁচালে কেউ মারতে পারে না। ’ এ সময় কুশল গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার বর্ণনার সময় বলেন, ‘আমি যে এই শীতে বেঁচে থাকব, তা কখনো ভাবিনি। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছেন। ’