ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
দাওয়াই

বাথরুমের বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
বাথরুমের বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন

শৌচাগার বা বাথরুমে প্রচুর রোগ-জীবাণু থাকে, যা সংক্রমণ ছড়ায়। বিশেষ করে স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস, ইকোলাই এবং শিগেলা ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, বাথরুমের কোণে লুকিয়ে থাকা সাধারণ ঠাণ্ডা ভাইরাস অন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ভাইরাল সংক্রমণের কারণ হতে পারে। বাথরুম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ভুল আচরণ বা বদ-অভ্যাস রয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিষ্কার বাথরুমেও এই ভুলগুলো করলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ভয়ংকর কোনো রোগে।

তাই প্রত্যেকেরই উচিত বদ-অভ্যাসগুলো এড়িয়ে ভালো কিছু নিয়ম মেনে চলা।

 

কমোডের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ নয়

আমেরিকান জার্নাল অফ ইনফেকশন কন্ট্রোলের মতে, কমোডের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করার চেয়ে বেশি বদ-অভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ করার অর্থ জীবাণুকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করা। পানি ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের দখলে চলে আসতে পারে পুরো বাথরুম।

তাই এই অভ্যাস আজই বদলান।

 

টুথব্রাশ রাখবেন না

দাঁতের যত্নে সবাই সচেতন। অথচ বাথরুমের ভেতর অনেকে টুথব্রাশ রাখেন, কিন্তু টয়লেটের চার ফুট দূরত্বে টুথব্রাশ থাকা উচিত। কারণ টয়লেটের ভেতর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

ফলে টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বাড়ে। ব্রাশে ঢাকনা পরিয়ে রাখলেও জীবাণুর বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। টুথব্রাশ শুকনা রাখা উচিত।

 

ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে তোয়ালে নয়

যাঁরা বাথরুমে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে, একই তোয়ালে বারবার ব্যবহার করেন—তাঁদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাথরুমে হুকের ওপর ভেজা তোয়ালে ঝুলিয়ে রাখলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

এ ধরনের তোয়ালে বাথরুমে ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাসের মতো মাইক্রোস্কোপিক জীবাণুর প্রজননস্থল।

 

এগজস্ট ফ্যান চালু করে নিন

কোনো কোনো বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান থাকলেও অনেকে চালু করতে ভুলে যান। এগজস্ট ফ্যান বাথরুমে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে। তাই আজ থেকে এগজস্ট ফ্যান চালু করার অভ্যাস তৈরি করে নিন।

 

মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটা নয়

অনেকে খালি পায়ে বাথরুম ব্যবহার করেন, যা মোটেও উচিত নয়। একজোড়া জুতা বা স্যান্ডেল নখে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধসহ নানা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

 

টয়লেটে বসে সেলফোন ব্যবহার নয়

অনেকেই টয়লেটের কমোডে বসে ফেসবুক, গুগল বা ইউটিউবে সময় কাটান। এটা কখনোই করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমের পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। ঠিকভাবে হাত না ধুয়ে কমোডের পাশে রাখা ফোন ধরলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সালমোনেলা, ই কোলাই, সিগেলা এবং ক্যামফাইলোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়াগুলো। এ ছাড়া অন থাকা এবং ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে সেলফোনটিতে এমনিতেই বেশি তাপমাত্রা থাকে, যা ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সেলফোনের রাবারের তৈরি কাভারে বাসা বাঁধে বহু ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। বাথরুমের ফ্লাশ, কল বা দরজার লক ব্যবহারের পর সেলফোনের স্ক্রিনে হাত দিলে সেখানেও জন্মাতে পারে সালমোনেলার মতো ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়া।

 

বই বা পত্রিকা রাখবেন না

বাথরুমে বই ও ম্যাগাজিন রাখার অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু এটা জানা উচিত যে কাগজ পানির কণা শুষে নিতে পারে সহজেই। তা ছাড়া স্যাঁতসেঁতে বই বা ম্যাগাজিনের পাতায় ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। তাই শৌচাগারে বই পড়ার অভ্যাস থাকলে, বাথরুমের বাইরে বই রাখার তাক বানিয়ে নেওয়াই ভালো।

 

সূত্র : এইসময়ডটকম

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ