প্রতি মাসে দুই কোটি হিসাবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় কোটি ডোজ করোনার টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে টিকা আসা শুরু হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
করোনার সংক্রমণ রোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনা মূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা জানান, চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা প্রদান কেন্দ্র ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিনা মূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। করোনা টিকা উৎপাদনকারী বিশ্বের সব সংস্থার সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে শুধু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে আমরা তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করি, কিন্তু অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে টিকাপ্রাপ্তির কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুিনক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিকা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিই। এর মধ্যে সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও সই হয়েছে। ’
নদীভাঙন নিয়ন্ত্রণ : বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, সরকার নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদীভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদীশাসন, নাব্য রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সারা দেশকে সাতটি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।
মাংস ও দুধের চাহিদা : সরকারি দলের সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত চার বছর ধরে দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। গত ঈদুল আজহার সময় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০০টি। আর কোরবানীকৃত পশু ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি।