‘কঠোর’ লকডাউনে রাজধানীর অনেক চেকপোস্টই পুলিশহীন। কয়েকটি সড়কে ছিল থেমে থেমে যানজট। মানুষের চলাচলও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশা চলছে বীরদর্পে।
ঢিমে তালে লকডাউন
- ♦ রাজধানীর কয়েকটি সড়কে থেমে থেমে যানজট
- ♦ গতকাল দুপুরেও কয়েকটি জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস গাবতলী টার্মিনালে ঢুকেছে
- ♦ পুলিশ ১৮ জনের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে ১৫ জনই পোশাক কারখানার পরিচয় দেন। তবে একজন ছাড়া কেউই কারখানার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানিমুখী কলকারখানা খোলার ঘোষণায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে আসার সুযোগ দিতে সরকার গত রবিবার দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও গতকাল দুপুরেও দেশের কয়েকটি জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস গাবতলী টার্মিনালে ঢুকতে দেখা যায়।
গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজের পূর্ব পাশে পুলিশ চেকপোস্টে ঢাকায় ঢোকা যাত্রীদের অনেকের কাছে প্রবেশের কারণ জানতে চায় পুলিশ। তাদের বেশির ভাগই নিজেদের পোশাক কারখানার কর্মী-কর্মকর্তা পরিচয় দেন। পুলিশের ওই চেকপোস্টে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখা যায়, পুলিশ ১৮ জনের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে ১৫ জনই পোশাক কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।
শুধু গাবতলী নয়, একই পরিস্থিতি দেখা যায় আব্দুল্লাহপুরেও।
শিমুলিয়ায় ফেরি চলছে সীমিত পরিসরে : এদিকে মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, যাত্রীদের চাপ কমে যাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথে ৫২টি লঞ্চ চলাচল করেছে। যাত্রীর চাপ কমে যাওয়ায় দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসির টার্মিনাল সুপারিনটেনডেন্ট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, ঘাটে এখন ছোট-বড় জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবাহী শতাধিক যানবাহন পদ্মা পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। তাই ফেরি চলছে সীমিত পরিসরে।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে বহরের ১৮টির মধ্যে ৯টি ফেরি চলছে। যাত্রীর চাপ কমেছে। জরুরি পরিষেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে চেকপোস্ট পার হয়ে যেসব যান জরুরি প্রয়োজনে আসছে তাদেরও পার করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।
গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।
দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’
প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

শহীদ মুগ্ধর বাবা
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংক্ষিপ্ত
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।