মীম আক্তার আর সুমাইয়া আক্তার এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের জন্ম বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ছিটমহলে। ওদের মা-বাবা দুশ্চিন্তায় ছিলেন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ছিটমহল বিলুপ্তির ছয় বছরে কেটে গেছে তাদের সেই দুশ্চিন্তা।
বিলুপ্ত ছিটমহলের ৬ বছর পূর্তি আজ
উন্নয়নের ছোঁয়ায় আত্মপ্রত্যয়ী ওরা
ভুবন রায় নিখিল, নীলফামারী

তাদের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল নগর জিগাবাড়ী গ্রামে। মীমের বাবা গোলজার হোসেন (৫০) পেশায় ক্ষুদ্র কৃষক।
মীম বলে, ‘আগে ছিটমহলে আইন ছিল না, লেখাপড়ার সুযোগ ছিল না।
মীমের বাবা গোলজার হোসেন বলেন, ‘বন্দি জীবনোত মুইতো নিরক্ষর। এলা গ্রামের সোগ চাওয়া লেখাপড়া শিখিবায়া বড় হবার মনোনিবেশ করিছে।
শুধু মীম-সুমাইয়া নয়, ছিটমহলের বন্দিজীবন থেকে মুক্তির স্বাদে তাদের মতো নিজেদের গড়তে চায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরের বিলুপ্ত চারটি ছিটমহলের নতুন প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই চার ছিটমহলের ৬৮ বছরের বন্দিদশার ছাপ কাটিয়ে অনেকটাই উত্ফুল্ল অধিবাসীরা। বিগত ছয় বছরে এসব গ্রামে গড়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মাণ হয়েছে পাকা রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট। এসব রাস্তা দিয়ে চলতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহন। প্রতিটি বাড়িতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো। যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা লেখাপড়ায় যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
গত ছয় বছরে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ কতটা পূর্ণ হয়েছে জানতে গত শনিবার সেখানে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তাদের প্রধান দাবি ছিল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন। গত ছয় বছরে সে উন্নয়ন হয়েছে চাহিদামতো। এখন তারা চলাচল করতে পারে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পদাচরণে এসব গ্রামে অবসান হয়েছে অরাজকতার।
এ বিষয়ে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ছিটমহল বিলুপ্তির পর থেকে এসব গ্রামের মানুষ দেশের মূলধারার নাগরিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক যেসব সুবিধা ভোগ করে, তারাও সে সুবিধা ভোগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘বিগত ছয় বছরে ডিমলার ওই চার বিলুপ্ত ছিটমহলে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। যেটুকু ঘাটতি আছে তা-ও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
উল্লেখ্য, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বিলুপ্ত চারটি ছিটমহলে ১৬৮.৪৮ একর এলাকায় ১৫৭ পরিবারের বসবাস। ওই চার ছিটমহলের জনসংখ্যা ৬৪৫। সে সময়ে তাদের মধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব নেয়নি কেউ। এসব ছিটমহলের পাশে অবস্থিত উপজেলার গয়াবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন।
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।