বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রশংসা ও উদ্বেগ—দুটোই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। গত ২১ জুলাই পররাষ্ট্র দপ্তরে ওই ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক বাংলাদেশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকারকে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ওই সাংবাদিক বলেন, এখানে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক বিরোধিতা, নাগরিক সমাজ, বিচার বিভাগসহ সব কিছু এখানে ক্ষমতাসীনরা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র
প্রশংসনীয় উদ্যোগ উদ্বেগ—দুটোই আছে
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস মানবাধিকার ইস্যুকে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রাখার কথা জানান। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিবিড়ভাবে কাজ করছি।
নেড প্রাইস বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশ মানবাধিকারের কিছু সুরক্ষায় অগ্রগতি দেখিয়েছে। যেমন বাংলাদেশের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং ২০১৭ সাল থেকে তারা সুরক্ষা দিচ্ছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে গণমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনে আমরা উদ্বিগ্ন। ব্যক্তিগত মত প্রকাশের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার বাড়ার খবর আমরা আমলে নিয়েছি। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের দমন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আটক করা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ আছে।
মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘অনলাইনে মত প্রকাশসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক সরকার, শাসনব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বিশ্বজুড়ে আমরা যেমনটা করি তারই আলোকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা গণমাধ্যমের সদস্যসহ মত প্রকাশের, একত্র হওয়ার স্বাধীনতার সুরক্ষায় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক ব্যক্তিদের ন্যায্য বিচার পওায়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাই।’
সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।