ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ মহররম ১৪৪৭
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের ব্রিফিং

নতুন দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেটে কিছু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নতুন দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেটে কিছু নেই

দেশে এত দিন তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি ছিল, এখন তা তথ্য নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। করোনাকালে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়া মানুষের তথ্য-উপাত্ত নেই। সে কারণে নীতিগতভাবে বলা যায়, বাজেটে তাদের জন্য কিছু রাখা হয়নি। এ ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়ী ও মধ্যবিত্তের জন্যও বাজেটে কিছু নেই।

প্রস্তাবিত বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকৃত অর্থে বরাদ্দ বাড়েনি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাও বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কাছ থেকে এসব অভিমত এসেছে।

গতকাল রবিবার ‘প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ : পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কি আছে’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

বিফ্রিংয়ের মূল উপস্থাপনায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেহেতু করোনা মহামারিকালীন নতুন দরিদ্র মানুষের কোনো পরিসংখ্যান আমাদের নেই, সেহেতু নীতিগতভাবে বাজেটে তাদের জন্য কিছু রয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘নতুন দরিদ্র, অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়ী ও মধ্যবিত্তের জন্য এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়নি। এই বাজেট মূলত বড় ব্যবসায়ীদের জন্য।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রকৃত অর্থে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি।

তাহলে প্রশ্ন জাগে, প্রস্তাবিত বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনে কতটুকু অর্থ বরাদ্দ দিল সরকার? প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার যে ব্যয় করবে তা জিডিপির ১০.৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০ শতাংশ। আমাদের পর্যালোচনা মতে, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকৃত অর্থে সরকারের ব্যয় বাড়বে না। তাহলে কিভাবে নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলো?’ তিনি বলেন, ‘বাজেটে যেসব সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বড় ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধাজনক। এখানে ভোক্তা সম্পর্কে কোনো আলোচনাই করা হয়নি।’

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক বলেন, ‘দেশে ন্যূনতম দারিদ্র্যসীমা ১০ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে যা ৩৫ থেকে ৪৩ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য, শ্রম, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশু অধিদপ্তর, সেতু বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যয়কেও দারিদ্র্য বিমোচনের অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে। সরকারকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। কিভাবে এসব খাতের ব্যয় প্রত্যক্ষ দারিদ্র্য বিমোচনের আওতায় আসবে সে বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।’

বাজেটে কর্মসংস্থান নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘দেশের কর্মক্ষমদের ৫০ শতাংশই যুবক। এসব জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বিষয়ে বাজেটে স্বচ্ছ ধারণা নেই। প্রস্তাবিত বাজেটের এক জায়গায় বলা হয়েছে যে প্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ আমরা জানতে পারলাম না। এ তথ্য কোথা থেকে এলো, তার উৎস সম্পর্কে বলা নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই যে বেসরকারি শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা যে ভোক্তার কাঁধে আসবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে?’

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, ‘করোনার কারণে শিক্ষা খাত বিপর্যয়ের বিষয়টি বাজেটে আনা হয়নি। অনলাইনে সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা বেশি ক্লাস করছে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা একদমই ক্লাস করতে পারছে না। তাদের বিষয়ে সরকার তেমন কিছুই বাজেটে ভাবেনি। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় এই সময়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এই খাতে আলাদা করে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। উল্টো শিক্ষার বরাদ্দের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বরাদ্দ।’ তিনি আরো বলেন, ‘নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে কোনো কথা বাজেটে বলা হয়নি, নেই কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে কোনো শব্দ। তাই বলা যায়, এই বাজেট শিক্ষাবান্ধব হয়নি।’

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে হলে সবার আগে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত জরুরি, যা বাজেটে নেই। যদি এটার পরিমাপ করতেই না পারি তাহলে বাস্তবায়ন কিভাবে করব? তবে বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ছাড় যথেষ্ট নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘করোনাকালে অনেকে নতুন দরিদ্র হয়েছে, অনেকের আয় কমেছে। সেই জায়গায় সরকারকে নজর দিতে হবে।’

স্বাস্থ্য কমিশন গঠনের সুপারিশ করে এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ মোশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের মৌলিক সমস্যা সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই। সংস্কারের উদ্যোগ নেই। মাননীয় অর্থমন্ত্রী ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তাতে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সময় লাগবে পাঁচ বছর, যা বাস্তবসম্মত নয়।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুভ কাজে সবার পাশে

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    টাঙ্গাইলে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনার
শেয়ার
যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে গতকাল ‘এসো যুক্তিতে আলোকিত হই’ শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

 যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

ঢাকা : যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাকলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল পরিবেশদূষণে জনগণের অসচেতনতাই দায়ী

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান শোভনের সভাপতিত্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সাবেক সিনিয়র রোভারমেট ও  বাঁধনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহমেদ কাজল, আবৃত্তি সংসদ ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন ও বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. রাজীব খান। বিতর্কে সরকারি দলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন গগন ঘোষ, মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এমদাদুল হক এবং সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন। অন্যদিকে বিরোধী দলে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন আশিকুর রহমান আশিক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আবু নাঈম এবং বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল। সরকারি দল বলে, জনগণ সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব।
তাঁরা যুক্তি দেন, সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

অন্যদিকে বিরোধী দল বলে, সরকারের কঠোরতাই পারে পরিবেশদূষণ রোধ করতে। বিভিন্ন আইন-কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের  সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটাঙ্গাইল : বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শহরের বাগানবাড়ি পানির ট্যাংকি বাজারে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগানবাড়ি সমাজপতি আতোয়ার রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেবুব ইসলাম রুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন ও প্রচার সম্পাদক সুজন মিয়া।

এতে ২৫ জন মাদকসেবী অংশ নেন। সেমিনারে বলা হয়, আসক্ত ব্যক্তিকে মাদক পরিহারের জন্য বাস্তবসম্মত কৌশল শেখানো হয়, যাতে সে মাদকের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেও তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে থাকা দেশের আরো ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এসংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। এতে সই করেছেন উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী। আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

 

মন্তব্য

বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি পদে ডা. শেখ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ১৫ বছরের পুরনো সংগঠনের এটিই প্রথম নির্বাচন।

 

ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড এ নির্বাচন পরিচালনা করে।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গত সাত মেয়াদে সমঝোতার ভিত্তিতে সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এবার নির্বাচন হওয়ায় প্রায় দেড় দশক পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় বিপিএমসিএর সাধারণ ভোটাররা।

সারা দেশে বিপিএমসিএর সদস্যসংখ্যা ১১০ জন। এর  মধ্যে ৯২ সদস্য ভোট প্রদান করেন। ২১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির এ নির্বাচনে মহিউদ্দিন-মুকিত প্যানেল ও আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

বিপিএমসিএর নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক।

তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আফরোজা খানম রিতা। তিনি মুন্নু মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত। তিনি সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।

মন্তব্য

ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অব্যাহত অবনতি এবং কক্সবাজারে বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

বিশেষ করে কক্সবাজারে বিএনপির ভারুয়াখালী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব কালচার উসকে দিচ্ছে। তারা ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সংস্কারের নামে কিছু এনজিওকর্মী এখন গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররাজনীতির ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

একের পর এক সহিংসতা ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।

সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, একটি গুপ্ত সংগঠন দেশে চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা এ অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কক্সবাজারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি।

এ ছাড়া বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ও গাড়িবহরে দফায় দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ