ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

বিটিআরসির ‘স্বাধীনতা’ বিলুপ্ত করতে গণমত আহবান

  • টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ

  • নিজস্ব তহবিলে রাখার বদলে সব আয় সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে
কাজী হাফিজ
কাজী হাফিজ
শেয়ার
বিটিআরসির ‘স্বাধীনতা’ বিলুপ্ত করতে গণমত আহবান

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ‘স্বাধীনতা’ বিলুপ্ত করার উদ্যোগ বাস্তবায়নে গণমত আহবান করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এ বিষয়ে ওয়েবসাইটে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া প্রকাশ করে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে ই-মেইলে মতামত চেয়ে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

খসড়ায় ২০০১ সালের মূল আইনের শিরোনাম অংশের ‘স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা’র স্থলে ‘কমিশন প্রতিষ্ঠা’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অংশেও আনা হয়েছে একই পরিবর্তন।

২০০১ সালে প্রণীত টেলিযোগাযোগ আইনের প্রস্তাবনায় বলা ছিল, ‘যেহেতু বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দক্ষ নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা, কার্যাবলি ও দায়িত্ব কমিশনের কাছে হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল।’ এই অংশটি থেকে স্বাধীন শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের ২১ ধারায় টেলিযোগাযোগ খাত থেকে আয় বিটিআরসির নিজস্ব তহবিলে জমা রাখার বিধান রয়েছে। তা সংশোধন করে সরকারি কোষাগারে জমার বিধান করা হয়েছে।

মূল আইনে বিটিআরসির কোনো কমিশনারকে অপসারণ করতে তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের হাতে। এটি সংশোধন করে তদন্তের দায়িত্ব থেকে বিচারপতিদের নাম বাদ রাখা হয়েছে।

এর আগে ২০১০ সালে মূল আইন সংশোধন করে প্রস্তাবনা অংশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ‘ক্ষমতা’ পরিবর্তন করে কতিপয় ক্ষমতা করা হয়। মূল আইনে ৩১ ধারায় কমিশনের ক্ষমতা বিষয়ে বলা ছিল, কমিশন টেলিযোগাযাগ সেবা বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স প্রদান ও তা বাতিল করা, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ, টেলিযোগাযোগ সেবার ট্যারিফ, কলচার্জ নির্ধারণ ইত্যাদির ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

এই ক্ষমতা আংশিক খর্ব করে ২০১০ সালের সংশোধিত আইনে লাইসেন্স দেওয়া, লাইসেন্স হস্তান্তর বা বাতিল করার ক্ষেত্রে সরকারে অনুদান নেওয়ার বিধান করা হয়। এবার সংশোধনী খসড়ায় বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ, এর ব্যবহারের কর্তৃত্ব প্রদান, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের পরিবীক্ষণ ও স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনাতেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান করা হয়েছে।

মূল আইনের ২১ ধারায় বলা ছিল, কমিশনের ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তহবিল’ নামে একটি তহবিল থাকবে। ওই তহবিলে বিভিন্ন অনুদান, প্রাপ্ত ঋণ ও টেলিযোগাযোগ খাত থেকে বিভিন্ন আয়ের টাকা জমা হবে। এই বিধান সংশোধন করে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

এবারের খসড়ায় আইনটির প্রয়োগ অংশে নতুন একটি উপধারা সংযুক্ত করে তাতে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাইরে থেকে এ দেশের কোনো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতি বা বেতার ব্যবস্থার সাহায্যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন এমনভাবে প্রয়োগ করা যাবে যে অপরাধটি বাংলাদেশের ভেতরেই সংঘটিত হয়েছে।

মূল আইনের ৭১ ধারায় টেলিফোনে আড়ি পাতার অপরাধ সম্পর্কে শুধু টেলিফোনে আলাপের কথা বলা আছে। সংশোধনীর খসড়ায় টেলিফোনে আলাপের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদানের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এই উদ্যোগে হতাশ বিটিআরসির কর্মকর্তারা। গত বছরের অক্টোবরে বিটিআরসিকে এই খসড়া পাঠিয়ে মতামত দিতে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম তখন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ আইন এভাবে সংশোধন করা হলে বিটিআরসির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আমলাতন্ত্রের কবলে পড়বে টেলিযোগাযোগ খাত এবং এর নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা থাকবে না।’

বিষয়টি সম্পর্কে বিটিআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার গত শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে যখন বিটিআরসির মতামত চেয়েছিল, তখন আমি এ প্রতিষ্ঠানে ছিলাম না। আমার জানামতে তখন বিটিআরসির মতামত নিয়েই খসড়াটি করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আহ্বান অনুসারে আমাদেরও মতামত দেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা আমাদের মতামত জানাব।’

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, “এভাবে আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিটিআরসিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন একটি সরকারি দপ্তরে পরিণত করা হচ্ছে। এটি দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণভার টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর বা ‘ডট’কে দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া বলেই মনে হয়।”

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ