<p>নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দী ইউনিয়নে এক গৃহবধূ (২০) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। গত শনিবারের এ ঘটনায় গৃহবধূ মঙ্গলবার রাতে হাতিয়া থানায় মামলা করলে গতকাল বুধবার ভোরে তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক শিশুকে (১১) যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>হাতিয়ায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন তমরদ্দীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ফজর আলী হেলাল (২৫), একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে মিরাজ (২৮) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নেজাম (৪৫)।</p> <p>নির্যাতিতার স্বামী স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে খাওয়া শেষে তিনি স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ১২টার দিকে স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে যান। এ সময় ওত পেতে থাকা হেলাল ওই গৃহবধূকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি বাড়ির পুকুরপারে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ছিলেন মিরাজ ও নেজাম। পরে তাঁরা তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। রাতেই গৃহবধূ বিষয়টি স্বামীকে জানালেও তিনি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে জানাননি। পরে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গৃহবধূ মামলা করেন।</p> <p>হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এজাহারনামীয় তিন আসামিকেই দুপুরে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মহিউদ্দিন আজিম জানান, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ায় আলামত তেমন পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি গাইনি কনসালট্যান্ট পরে রিপোর্ট দিয়ে জানাবেন।</p> <p>নান্দাইলে গতকালের ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াহেদ মিয়ার (৬০) বাড়ি উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের অরণ্যপাশা এলাকায়। ভুক্তভোগী শিশুটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কাঁদছেন তার মা-বাবা। শিশুটির বাবা বলেন, গতকাল সকালে তিনি বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী পাশের ভাড়াটিয়ার স্ত্রীকে নিয়ে ওষুধ আনতে যান। এ সময় তিনি মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে যান। মেয়ে তাঁকে জানায়, ওয়াহেদ মিয়া তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। সে চিৎকার দিলে ওয়াহেদ তার চুলের মুঠি ও মুখ চেপে ধরে রাখেন। পরে লোকজন ছুটে আসার আগেই ওয়াহেদ পালিয়ে যান।</p>