<p>মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ৩০ লাখ স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জাতিসংঘে পাঠাবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির তিন দশক উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে তিনি এ তথ্য জানান।</p> <p>একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে আন্দোলনরত নাগরিক সংগঠন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ৩০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কেন্দ্র ও বিভিন্ন শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে কেন্দ্র ও মহানগরের নেতারা মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শপথ গ্রহণ করা হয়।</p> <p>বিকেলে সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অংশগ্রহণ করেন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, সংগীতশিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌসী লাকী, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ।</p> <p>শাহরিয়ার কবির বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নির্মূল কমিটি আগামী এক বছরে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত ১৯৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ৩০ লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জাতিসংঘসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারের কাছে পাঠাবে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন এবং বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের মার্চে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।</p>