গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডান চোখ তুলে ফেলা অবস্থায় জেসমিন আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক শ্বশুর আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত।
গত রবিবার রাতে জেসমিনের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। রাতেই আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এদিন দুপুরে জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ছুরিকাঘাতের পাঁচটি চিহ্ন ছিল। ডান চোখটি তুলে ফেলা হয়েছিল।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মোবাইলের কললিস্ট দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডে জেসমিনের সাবেক শ্বশুর জড়িত থাকতে পারেন।
তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও তিনি জেসমিনকে ফোন দিয়ে বারবার বিরক্ত করতেন বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিহত জেসমিন দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার পাঠানপাড়া গ্রামের সুলতান আহম্মদের মেয়ে।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। কালিয়াকৈরের পূর্ব চান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
দুই মাস আগে পূর্ব চান্দরা এলাকার আমিনুল মিয়ার ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল। বিয়ে হয়েছিল তিন বছর আগে। দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে তাঁদের।