দাঁড় টানার ভঙ্গিতে আসন করলে সামগ্রিকভাবে সহনশীলতা বাড়ে। এই আসনটি মূলত মাটিতে বসে করা হয়। কিন্তু যেসব বর্ষীয়ান মানুষের পক্ষে মাটিতে বসে আসনটি করা সম্ভব নয় তাঁদের জন্য এই চেয়ার যোগ
পদ্ধতি
- সোজা হয়ে চেয়ারে বসুন, হেলান দেবেন না। শরীর টান টান থাকবে, দুই পা মাটিতে রাখুন সোজা করে।
আরামদায়কভাবে মাথা-ঘাড় সোজা করে বসতে হবে। দুই হাত রাখুন ঊরুর ওপর। চোখ বন্ধ করে মন একাগ্র করে বসুন।
- এই অবস্থায় চেয়ারের সামনের দিকে এগিয়ে আসুন।
দুই হাঁটু যেন একসঙ্গে থাকে খেয়াল রাখবেন। এটিই রোয়িং চেয়ার যোগ শুরুর অবস্থান।
- এবার মনে মনে নৌকার দাঁড় টানার ভঙ্গিতে প্রস্তুতি নিন। দুই হাত দিয়ে নৌকার বৈঠা বা দাঁড় ধরার ভঙ্গি করুন।
- এবার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে চেয়ারের পেছনে যতটা সম্ভব হেলে যান, একই সঙ্গে দুই হাত দাঁড় টানার ভঙ্গিতে কনুই থেকে যতটা সম্ভব ভাঁজ করে কাঁধের দিকে নিয়ে আসুন।
- এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নিতম্ব থেকে যতটা সম্ভব সামনের দিকে ঝুঁকে যান। একই সঙ্গে দুই হাত সামনের দিকে দাঁড় টানার ভঙ্গিতে বাড়িয়ে দিন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হলো।
- এভাবে পাঁঁচ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
পেছন দিক থেকে সামনের দিকে অভ্যাস করার পর সামনের দিক থেকে পেছন দিকে একই নিয়মে পাঁচ রাউন্ড অভ্যাস করুন।
- আসন অভ্যাস শেষ হলে চোখ বন্ধ করে চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ রিল্যাক্স করুন। এই আসনটি করলে কিছুটা হাঁপিয়ে যাবেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হলে আসন শেষ করে উঠে পড়ুন।
সতর্কতা
কোমরে, পিঠে, ঘাড়ে বা কাঁধে খুব ব্যথা থাকলে জোর করে আসনটি করতে যাবেন না। স্লিপ ডিস্কের সমস্যায় এই আসন করা মানা।
উপকারিতা
বেশি বয়সে যাঁদের পায়ে ব্যথা ও অন্যান্য কারণে হাঁটাচলা সীমিত তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করেন, তাঁরাও সময় পেলে আসনটি অভ্যাস করতে পারেন। হজমের সমস্যা দূর হয়।