ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

পর্যটকদের নতুন গন্তব্য ‘তৈলাফাং’ ঝরনা

সাগর চক্রবর্তী কমল, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)
সাগর চক্রবর্তী কমল, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)
শেয়ার
পর্যটকদের নতুন গন্তব্য ‘তৈলাফাং’ ঝরনা
পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমানায় একটি গ্রাম কাতালমনিপাড়া। এই গ্রামে তৈলাফাং ঝরনার অবস্থান। ঝরনাটি প্রায় ৫০ ফুট উঁচু আর ২০ ফুট প্রশস্ত। ছবি : কালের কণ্ঠ

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলোও শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভ্রমণপিপাসুরাও আসতে শুরু করেছে দর্শনীয় স্থানগুলোতে।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও বেড়েছে পর্যটকদের আগমন। এর মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখানকার ‘তৈলাফাং’ ঝরনা।

সম্প্রতি এই ঝরনার সন্ধান মিলেছে।

নয়নাভিরাম নতুন স্থানে বেড়াতে পর্যটকদের আগ্রহ সব সময় বেশি। বর্তমানে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে এমনই একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে তৈলাফাং ঝরনা। পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমানায় একটি গ্রাম কাতালমনি পাড়া।

এই গ্রামে তৈলাফাং ঝরনার অবস্থান। ঝরনাটি প্রায় ৫০ ফুট উঁচু আর ২০ ফুট প্রশস্ত। স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি ভ্রমণপিপাসুদেরও নজর কেড়েছে ঝরনাটি।

যেভাবে যেতে হয়

তৈলাফাং ঝরনায় যেতে একাধিক পথ রয়েছে।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি হয়ে রয়েছে একটি পথ। আবার পানছড়ি উপজেলার মরাটিলা দিয়েও তৈলাফাং ঝরনায় যাওয়া যায়। তবে ঝরনাটিতে পৌঁছতে পার হতে হয় দুর্গম দুটি পাহাড়। খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজি, পিকআপ, মোটরসাইকেলে মাটিরাঙ্গা বাজার হয়ে তবলছড়ি কিংবা পানছড়ির মরাটিলার পর প্রিন্সিপালের বাগান পার হয়ে ভাইবোনছড়া সংযোগ সড়কে গিয়ে নামতে হয়। সেখান থেকে কাতালমনি পাড়ার দূরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার।
এটি পুরোটাই মেঠোপথ। বৃষ্টি হলে হেঁটে যেতে হয়। অন্য সময় মোটরসাইকেলে চার কিলোমিটার গিয়ে বাকি পথ হেঁটে যেতে হয়। ভাইবোনছড়া সংযোগ সড়ক থেকে মেঠোপথ ধরে বৌদ্ধ বিহার এলাকায় পৌঁছে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই ঝরনায় পৌঁছার পথ দেখিয়ে দেবে। তবে এই পথটুকু অত্যন্ত দুর্গম। ফলে পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়।

যেহেতু এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম, ফলে দোকানপাট নেই। এ কারণে ভ্রমণপিপাসুদের অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে পানিসহ প্রয়োজনীয় খাবার। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় বৃষ্টির দিনে না যাওয়াই ভালো। তৈলাফাং ঝরনা দর্শনে রৌদ্রময় দিনেই যাওয়া ভালো।

তৈলাফাং ঝরনার পাশেই রয়েছে আরো দুটি ঝিরি-ঝরনা। ছোট আকারের এই দুটি ঝরনার অবস্থান তৈলাফাং ঝরনার ৫০ মিটারের মধ্যে। এসব ঝরনার চারপাশে উঁচু-নিচু পাহাড়ে স্থানীয় লোকজন জুম চাষ করে। সেসব দৃশ্যও ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করছে।

সম্প্রতি উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বেড়িয়ে আসেন ঝরনাটি। তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালে তৈলাফাং ঝরনার কথা শুনে ঘরবন্দি অবস্থা থেকে একটু প্রশান্তির জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য স্থানটি বেশ। ঝরনায় পৌঁছতে দুর্গম পথ পার হতে হয়। পাহাড়, ঝরনা প্রিয় যাদের, স্থানটি তারা বেশ উপভোগ করবেন।’

পানছড়ি উপজেলার উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণাংকর চাকমা সপরিবারে গিয়েছিলেন তৈলাফাং ঝরনা দেখতে।

তিনি বলেন, ‘ওই ঝরনায় যাওয়ার পথ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল

বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
ড. আসিফ নজরুল

বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। গতকাল দেশটি এই ঘোষণা দেয়। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আমাদের যে শ্রমিক ভাই-বোনরা আছেন, তাঁদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এটি অফিশিয়ালি নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যখন গত মে মাসে মালয়েশিয়ায় সফর করি, তখন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এবং আমাদের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছিল। আমরা খুব স্ট্রংলি বলেছিলাম যে দেখুন, অন্য কোনো দেশের শ্রমিকের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেয় না সবাইকে, মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়। শুধু আমাদের দেয় সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা।
উনি আসলে এটা শুনে খুব অবাক হয়েছিলেন। তখন উনি উনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁরা উনাকে কনফার্ম করেছিল যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। উনি এটা শুনে সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর পরও আমরা প্রতিদিন যোগাযোগ করছিলাম যে কবে সত্যিকার অর্থে এটা দেখতে পাব।’

 

মন্তব্য

‘সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি’ ভাঙা নিয়ে বিতর্ক

    পুনর্নির্মাণে সহযোগিতা করতে চায় ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি’ ভাঙা নিয়ে বিতর্ক

ময়মনসিংহ শহরের প্রায় ২০০ বছরের পুরনো বাড়ি ভেঙে শিশু একাডেমি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে দাবি করেছেন, বাড়িটি প্রখ্যাত লেখক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের।

বাড়িটি ভাঙার বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে তিনি জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এটি রায় পরিবারের ঐতিহাসিক বাড়ি এবং সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের নিবাস ছিল বলে তিনি বইয়ে জেনেছেন।

  যদিও এটি এখনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত নয়, তবে এ বছর নতুন জরিপে এটি তালিকাভুক্ত হতে পারে। তিনি আপাতত এই ভবন ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।

এদিকে গত রাতে জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল হক ঘটনাস্থলে বাড়িটির প্রকৃত মালিকের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। এ সময় তিনি ময়মনসিংহের স্থানীয় একাধিক বিশিষ্টজনের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, আজ বুধবার বাড়িটির প্রকৃত মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে বসবেন। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে—আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর পৈতৃক সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন সম্পত্তিটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলা সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক ওই ভবনের ঐতিহাসিক মর্যাদা বিবেচনা করে ভাঙার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা, ভাঙার বিকল্প হিসেবে সাহিত্যের জাদুঘর এবং বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এর মেরামত ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলো পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয় হবে।
ভারত সরকার এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পুরনো এই ভবন একসময় শিশু একাডেমিরই অফিস ছিল। প্রায় ১০/১৫ বছর আগে ভবনটির দুরবস্থার জন্য শিশু একাডেমির অফিস এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত ছিল। সম্প্রতি ভবনটি ভেঙে এখানে নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্বান্ত নেয় শিশু একাডেমি।

প্রায় ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবন নির্মাণে আগে পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজ চলছিল। তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভবনটি ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

 

 

মন্তব্য

মহাখালীতে পথশিশু ধর্ষণ মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মহাখালীতে পথশিশু ধর্ষণ মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী এলাকায় ৯ বছরের এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়েছে। গত সোমবার রাতে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের পেছনে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। রাতেই তাকে ওসিসিতে আনা হয়।

শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ডা. তাইয়েবা সুলতানা জানিয়েছেন। এদিকে  ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানার পুলিশ । তার নাম মো. আল আমিন (২১)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
বনানী থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারের দক্ষিণ পাশে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই বনানী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ডিএমপির বনানী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তা বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তা বদলি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৫১ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমানের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পল্লবী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রাজিয়া সুলতানা, ডেমরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদ হোসেনকে বদলি করা হলেও তাঁদের অংশটুকু সংশোধন করে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তারা আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন।

অন্যথায় আগামী ২৩ জুলাই তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ