ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

রাজধানীতে ভাঙাচোরা অনেক সড়ক

লায়েকুজ্জামান
লায়েকুজ্জামান
শেয়ার
রাজধানীতে ভাঙাচোরা অনেক সড়ক
রাজধানীজুড়ে বর্ষা এলেই চলে খোঁড়াখুঁড়ি। কাজের ধীরগতির কারণে নগরবাসীকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বছরের পর বছর যেমন পড়ে আছে মেরামতহীন সড়ক, অন্যদিকে উন্নয়নকাজের নামে বহু সড়কে ক্রমাগত চলে খোঁড়াখুঁড়ি। কিন্তু কাজের ধীরগতির ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি আর কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।

মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজার থেকে যে সড়কটি পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কে মিশেছে, ওই সড়ক ধরে চলতে গেলে মনে হবে বিল-ঝিলে ঘেরা গ্রামের কোনো পথ। ভাঙাচোরা, খানখন্দে ভরা।

সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুসমান কাদা-পানি জমে যায়। বছরের পর বছর ধরে সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে না। সড়কটি মেরামতের দাবিতে এলাকাবাসী বহুবার মিছিল-মিটিং করেছে। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর, সংসদ সদস্য কিংবা মেয়র কেউই কর্ণপাত করছেন না।

ওই এলাকার বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী আবদুস সালেহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এ সড়কটির দুরবস্থার বিষয়টি হিসাব করি আমার বয়েসের সঙ্গে। ছোটবেলায় এ সড়কে যে কাদা-পানির মধ্যে বৃষ্টি হলে ফুটবল খেলতাম, এখনো সে অবস্থা। দেশে কতবার সরকার বদল হয়েছে, মেয়র, কাউন্সিলর বদল হয়েছে, কিন্তু সড়কটির কোনো পরিবর্তন হলো না।’ 

ওই এলাকার বৃদ্ধ নেয়ামত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ সড়কটি স্বাধীনতার আগে কাঁচা ছিল।

এরপর ফেলা হয় সুরকি। এখন সেই সুরকির সঙ্গে যোগ হয়েছে কাদা-পানি।’

মিরপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ত’ ব্লকের গলির সড়কগুলোর বেশির ভাগে খানাখন্দ। একই অবস্থা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়া পর্বতা ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কগুলোর বেশির ভাগে আশপাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।

পাশাপাশি সড়কগুলোয় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মনিপুরীপাড়ার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই সড়কের খানাখন্দ ও ময়লা পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছি। বর্তমান কাউন্সিলর কথা দিয়েছেন সমস্যার সমাধান করবেন, আমরা এখন সে অপেক্ষায় আছি।’

মিরপুরের কালশী সড়কটি প্রায় দুই বছর ধরে ব্যবহারের অযোগ্য। উন্নয়নকাজ চলছে। কালশী সড়কে নির্মিতব্য ফ্লাইওভারটি এসে মিলিত হবে ইসিবি চত্বরে। কালশী সড়কের বাসিন্দা নবী আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখানে উন্নয়নকাজ চলছে। এ নিয়ে আমাদের কথা নেই। তবে আমরা মনে করি, ফ্লাইওভারের কাজ চলছে ধীরগতিতে। দুই বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে সড়কের ধুলার কারণে এলাকার লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার বৃষ্টি হলে কালশী মোড়ে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমাদের দাবি, দ্রুত উন্নয়নকাজ শেষ করা হোক।’

ওই এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আহমেদ তুহিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনকে বারবার অনুরোধ করার পরও এই সড়কের গর্তগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। এসব গর্তের কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।’

ভাসানটেক থেকে যে সড়কটি মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে মিশেছে, ওই সড়কে বর্তমানে নতুন করে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। নতুন ড্রেন বসানোর জন্য ওয়াসা রাস্তা খুঁড়ছে। এই সড়কটি খোঁড়ার কারণে গণপরিবহন চালুর পর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বিরক্তিকর যানজট।

রাজধানীর বিজয়নগর মোড় থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত এলাকার সড়কটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে ছয়-সাত মাস ধরে। ব্যস্ততম এই সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যান চলাচলে এখন এক চিলতে সরু সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটির নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

পুরানা পল্টন মোড়ের ব্যবসায়ী নেহাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কী কারণে রাজধানীর এই কেন্দ্র এলাকায় মাসের পর মাস সড়ক খুঁড়ে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ