ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয়ী হতে হলে নিজ দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে। কেননা দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপির এখনো ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁদের ডেকে বৈঠকের পরও এসব প্রার্থী সরে যেতে নারাজ। সিটি নির্বাচন বিষয়ে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁদের বলেছেন, ২০ জানুয়ারি সোমবারের মধ্যে তাঁরা সরে যাওয়ার ঘোষণা না দিলে দলের গঠনতন্ত্রে থাকা নিয়ম অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন
সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিবৃত্ত করতে পারছে না বিএনপি
- কালকের পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা
শফিক সাফি

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেসব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন তাঁদের বুঝিয়ে বসিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। এ পর্যন্ত ছয়টি ওয়ার্ডে সফলও হয়েছি। তবে আজ পর্যন্ত (শনিবার) ১৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়ে গেছেন। তাঁদের নিয়ে কাল সকালে বৈঠক করব।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিভিন্ন থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে বিদ্রোহী হিসেবে থাকা নেতাদের বোঝানো হয়েছে। তাঁরা যদি ২০ জানুয়ারির মধ্যে সরে না যান, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ সাংগঠনিক ব্যবস্থা বহিষ্কারও হতে পারে।
উত্তর সিটিতে বিএনপির বিদ্রোহী ১৯ জন : ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জামাল হোসেন, ৫ নম্বরে বুলবুল আহম্মেদ মল্লিক, ৬ নম্বরে আমজাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান, রাহাদুল ইসলাম রিপন, ৭ নম্বরে গোলাম রাব্বানী, ৮ নম্বরে সোলায়মান খান দেওয়ান, ১৬ নম্বরে সৈয়দ আকরাম হোসেন, ১৮ নম্বরে কাজী আব্দুল লতিফ, ২০ নম্বরে সেলিম আহমেদ রাজু, ২৩ নম্বরে আবুল মেসের, ২৫ নম্বরে হাশেম মিয়া ও জিয়াউর রহমান বাবু, ৩০ নম্বরে হাসেম মিয়া, ৩১ নম্বরে হাসিনা মোরশেদ কাকলী ও ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৪ নম্বরে ওসমান গণি শাহজাহান, ৩৭ নম্বরে আহমদ আলী এবং ৪৭ নম্বরে হেলাল তালুকদার।
দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির ১২ বিদ্রোহী : ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম, ১৫ নম্বরে আবু নাছের লিটন, ৩৭ নম্বরে সুমন ভূঁইয়া, ৩৯ নম্বরে মোজাম্মেল হক মুক্তা, ৪৬ নম্বরে মো. সোহেল ও ঢালী মামুনুর রশিদ, ৫১ নম্বরে কবির আহম্মেদ, ৫২ নম্বরে বাদল রানা, ৫৫ নম্বরে শহিদুল হক, ৫৯ নম্বরে খোরশেদ আলম খোকন, ৬১ নম্বরে শাহ আলম, এবং ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুউদ্দিন মিয়া।
এসব প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এলেও তাঁরা সরবেন না। এঁদের একজন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নূর উদ্দিন মিয়া। তিনি ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপি থেকে যাঁদের ডেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই আমাদের প্রার্থী। অন্যরা নিজে থেকে নির্বাচন করছেন। তাঁদের দল থেকে বলা হয়েছে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে। তাঁরা তা না করলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।