ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
দেশে অসংক্রামক রোগের নগরভিত্তিক নতুন সমীক্ষা

ঢাকায় বেশি হাইপার টেনশন ও বিষণ্নতা

  • মোটা মানুষ বেশি খুলনায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় বেশি হাইপার টেনশন ও বিষণ্নতা

দেশের অন্যান্য নগরের তুলনায় ঢাকায় ৭ শতাংশ বেশি মানুষ হাইপার টেনশনে ভুগছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও হৃদেরাগের প্রকোপও বেশি। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগে (সিওপিডি) ভুগছে এমন মানুষের হার ঢাকার বাইরে বেশি। তবে ঢাকায় বিষণ্নতায় ভুগছে এমন মানুষ বেশি।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা ও খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সরকারের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞদল ওই সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি কারিগরি কমিটির সভায় ওই সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনা করেন অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান প্রমুখ।

বাংলাদেশের অসংক্রমিত রোগের প্রাদুর্ভাবের চিত্র তুলে ধরে জানানো হয় যে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই হয় অসংক্রামক বিভিন্ন রোগের কারণে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ হৃদেরাগে, ১২ শতাংশ ক্যান্সারে, ১০ শতাংশ শ্বাসতন্ত্রের রোগে, ৩ শতাংশ ডায়াবেটিসে এবং ১২ শতাংশ অন্যান্য রোগে মৃত্যু হয়। সর্বশেষ সরকারি প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

অসংক্রামক রোগের নগরভিত্তিক নতুন সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৫.৯ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনে, ২০ শতাংশ ডায়াবেটিসে, ৬.৬ শতাংশ হৃদেরাগে, ১.৪ শতাংশ স্ট্রোক ও ০.৭ শতাংশ মানুষ সিওপিডি রোগে ভুগছে। অন্যদিকে খুলনায় ১৯.১ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনে, ১২.৩ শতাংশ ডায়াবেটিস, ৪.৫ শতাংশ হৃদেরাগে, ২.১ শতাংশ স্ট্রোক ও ১.৪ শতাংশ মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত।

তবে অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত লবণ খাওয়ার প্রবণতা ঢাকা ও খুলনার মানুষের মধ্যে প্রায় সমান। ঢাকায় ৩৯ শতাংশ এবং খুলনায় ৩৮ শতাংশ মানুষ নিয়মিত খাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেয়ে থাকে। তবে ফাস্ট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে খুলনার চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি খেয়ে থাকে ঢাকার মানুষ।

এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাত দিন ঢাকায় নিয়মিত ফাস্ট ফুড খায় ৬১.৩ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে খুলনায় এই হার ৫৩.৬ শতাংশ।

সমীক্ষার প্রতিবেদন বলছে, ঢাকার চেয়ে খুলনায় তামাক গ্রহণের প্রবণতা বেশি। ঢাকায় ১৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো তামাক গ্রহণ করে, খুলনায় এই হার ১৯.৪ শতাংশ। অ্যালকোহল গ্রহণের ক্ষেত্রেও ঢাকার চেয়ে খুলনায় বেশি হার পাওয়া গেছে। খুলনায় ২ শতাংশ এবং ঢাকায় ১ শতাংশ মানুষ নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করে। এ ছাডা ঢাকায় অতিরিক্ত ওজনধারী মানুষ ২৯ শতাংশ এবং খুলনায় এই হার ২৭ শতাংশ। তবে স্থূল মানুষের হার ঢাকার চেয়ে খুলনায় কিছুটা বেশি। ঢাকায় ১০ শতাংশ এবং খুলনায় ১২ শতাংশ মানুষ মোটা। অন্যদিকে ঢাকায় ৭ শতাংশ মানুষ কম ওজনের, খুলনায় তা ৮ শতাংশ।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। এ হার ৭৫.৭ শতাংশ। অন্যদিকে খুলনায় এই হার ৫৬.৪ শতাংশ। পারিবারিক সহিংসতার শিকার ঢাকায় ২৭.৯ শতাংশ এবং খুলনায় ১৮.১ শতাংশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ