ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

মাদকের পরীক্ষা করা যাবে সিআইডির পরীক্ষাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাদকের পরীক্ষা করা যাবে সিআইডির পরীক্ষাগারে

সরকার সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারকে মাদকদ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের উপাদান পরীক্ষার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগার হিসেবে ঘোষণা করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৬২ (খ) এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর রাসায়নিক পরীক্ষাগারকে মাদকদ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের উপাদান পরীক্ষার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (২০১৮) এর অধীনে পরিচালিত কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ের কোনো বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হলে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগার বা সরকার নির্ধারিত অন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন মামলা দায়ের, মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার অথবা অন্য কোনো ধরনের কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কক্সবাজার আ. লীগ অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
কক্সবাজার আ. লীগ অফিস এখন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ অফিস এখন কক্সবাজার পৌরসভার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র। পৌর পরিষদের এক সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবনের সামনে ও পেছনে স্বাস্থ্যসেবার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, শহরের লালদীঘির পূর্বপারে জেলা আওয়ামী লীগের পাকা অফিস ভবনটির অবস্থান। পৌর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন লালদীঘির পারের দক্ষিণ পারে একসময় অফিসটি ছিল।

২০২১ সালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পৌরসভার তিনটি পুকুর সংস্কার করে আবারও পৌরসভার কাছে পুকুর তিনটি বুঝিয়ে দেয়। সে সময় লালদীঘি পারের একটি মসজিদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ আরো কয়েকটি দলের অফিস ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিল।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের দিন জেলা আওয়ামী লীগের অফিসটির যাবতীয় আসবাব ও দরজা-জানালা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে এটি।

এ সুযোগে মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয় ভবনটি।

মন্তব্য

মাহফুজ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
মাহফুজ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর আক্রমণে নিহত কলেজছাত্র মাহফুজুর রহমান হত্যার বিচারের দাবিতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার টঙ্গীর কলেজ গেট ও টঙ্গী পূর্ব থানা কম্পাউন্ডে দুপুর ১২টায় এ দুটি মানববন্ধন হয়।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম ও বাসন থানার উদ্যোগে টঙ্গী কলেজ গেটের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান হত্যার বিচার এবং সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির আহম্মেদ, টঙ্গী পশ্চিম থানার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. আব্দুল লতিফ, টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান সুজন প্রমুখ।

এদিকে একই সময় টঙ্গী পূর্ব থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে টঙ্গী যুবসমাজের উদ্যোগ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য
পদযাত্রার সমাবেশে বক্তারা

খুলনার ৬টি আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনার ৬টি আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি

আগামী নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে খুলনার শিববাড়ী মোড়ের পথসভায় বত্তৃদ্ধতাকালে এনসিপি নেতারা এই ঘোষণা দেন। এ সময় বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপির প্রার্থীদের বিজয়ী করে নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খুলনার মাটিতে পরিবর্তনের ডাক : জুলাই পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রা স্লোগানে অনুষ্ঠিত পদযাত্রার এ পথসভায় বত্তৃদ্ধতা করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপি নেতা আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

 

মন্তব্য
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী

ছোট সাজ্জাদের ভারী অস্ত্রগুলো কোথায়?

    ছোট সাজ্জাদের অস্ত্রের উৎস পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা : পুলিশ
ফারুক মুনির, চট্টগ্রাম
ফারুক মুনির, চট্টগ্রাম
শেয়ার
ছোট সাজ্জাদের ভারী অস্ত্রগুলো কোথায়?
সাজ্জাদ হোসেন

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েও এসব অস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অথচ পুলিশের কাছে সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগীদের কাছে ভারী অস্ত্র থাকার তথ্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, একে-৪৭সহ অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র তাহলে কোথায়?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ছোট সাজ্জাদের এসব অস্ত্রের উৎস পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।

তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র কিনেছেন সাজ্জাদ। অস্ত্র সংরক্ষণও করে পাহাড়িরা।

গত ১৫ মার্চ রাজধানীর একটি বিপণিকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তারের পর ছোট সাজ্জাদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ বহু অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক নানা ঘটনার পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এক ওসিকে নগ্ন করে পেটানোর হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসা ছোট সাজ্জাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার এখনো আড়ালে।

পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, তাঁর ভাণ্ডারে একে-৪৭সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। সাজ্জাদ নিজে ব্যবহার করতেন আমেরিকায় তৈরি দামি পিস্তল। প্রায় ২৫ জন সহযোগী রয়েছে তাঁর।

তাদের প্রত্যেকের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী বিভিন্ন মডেলের অস্ত্র সরবরাহ করা হতো। এসব অস্ত্র পাহাড়ের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া এসব অস্ত্র উদ্ধার প্রায় অসম্ভব।

সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হলেন, বিভিন্ন মামলায় ২৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো, তবু তাঁর এসব অস্ত্রের হদিস মিলছে না কেন?

কালের কণ্ঠের এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির একজন উপকমিশনার জানান, ছোট সাজ্জাদের অস্ত্রের উৎস পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। তাঁর বাহিনীতে কমপক্ষে ২৫ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে।

তারা অস্ত্রবাজিতে দক্ষ। চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি করতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের থেকে তারা একে-৪৭সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনেছে। এসব অস্ত্র গহিন পাহাড়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের যে লজিস্টিক সাপোর্ট আছে, তা দিয়ে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান ছাড়া ছোট সাজ্জাদের অস্ত্রভাণ্ডারে হাত দেওয়া এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ। সাজ্জাদ তাঁর সহযোগীদের পাহাড়ে নিয়ে অস্ত্র চালনায় দক্ষ করে তুলেছেন বলেও জানান তিনি।

একই প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদের মামলা তদারকির দায়িত্বে থাকা একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সাজ্জাদের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারলেও ভাগ্নে মোহাম্মদ, ইমনসহ একাধিক সন্ত্রাসী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অস্ত্রগুলো দুর্গম পাহাড়ে সংরক্ষিত বলে সাজ্জাদ নিজেও স্বীকার করেছে। তার সহযোগীরাও একই তথ্য দিয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারের দরকার হলে তারা সেগুলো পাহাড় থেকে সমতলে নিয়ে আসে। অপরাধ ঘটিয়ে আবার পাহাড়ে ফেরত নেওয়া হয়। অস্ত্র আনা-নেওয়ার কাজে তার সহযোগী ছাড়াও পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কাজ করে। সব হিসাব-নিকাশ করে আমরা এগাব, অবশ্যই এগাব। অবৈধ অস্ত্র কারো হাতে থাকবে না।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন, চান্দগাঁও এলাকায় ছোট সাজ্জাদ বা বুড়ির নাতি হিসেবে পরিচিত। বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকায় আরো এক সাজ্জাদ রয়েছেন। তিনি বিদেশে পলাতক আরেক শীর্ষ সস্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী।

ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিসকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২১ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে গুলি করে হত্যা করেন সাজ্জাদ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ