<p>চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার ঢাকার নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে আরেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল ঢাকায় গিয়ে শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে রাতেই চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়।</p> <p>এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে গতকাল বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া। পরে আসামিদের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।</p> <p>এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেলে আসামিদের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।</p> <p>কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন কোতোয়ালি থানা নির্বাচন অফিসের মো. শাহিন, বাঁশখালী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (বর্তমানে ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসে সংযুক্ত) পাভেল বড়ুয়া ও বন্দর থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জাহিদ হাসান। গত রবিবার দুপুরে তাঁদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে আরেকজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ফাহমিদা খানমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। </p> <p>ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শাহিনুরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, ঢাকায় একটি দল কাজ করছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত বলা যাবে।</p> <p>প্রসঙ্গত, এক রোহিঙ্গা নারীকে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ডবলমুরিং নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, বিজয় দাশ ও সীমা দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়।</p>