<p>চাঁদপুরের মতলব পৌর এলাকার পূর্ব কলাদি জামে মসজিদের ইমামের কক্ষে একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যুর রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের কয়েকটি টিম রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিলাদের তবারক খেয়ে শিশু তিনটি ইমামের কক্ষে যায়। সেখানে থাকা আইপিএসের ব্যাটারির পানি ভুল করে খেয়ে ফেলে তারা। এতে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। আবার কেউ বলছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই সময়ে মতলব বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।</p> <p>খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মসজিদটির ইমাম জামাল উদ্দিনের কক্ষে আইপিএসের যন্ত্রাংশ রয়েছে। বড় আকারের ব্যাটারিও আছে। এ ব্যাটারির জন্য একধরনের তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়। শিশু তিনটি মসজিদের মিলাদের তবারক খাওয়ার পর পানি ভেবে সেই তরল পদার্থ খেয়ে থাকলে, এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এসব গুঞ্জন সেখানে ছড়িয়ে পড়লেও এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলছে না কেউ।</p> <p>মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ জানান, গতকাল শনিবার সকালে শিশু তিনটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত সংক্ষুব্ধ কেউ বাদী না হওয়ায় তিনি বাদী হয়ে গত শুক্রবার মধ্যরাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না, এ জন্য মসজিদের ইমামকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।</p> <p>এদিকে গতকাল ভোরে ঢাকা থেকে সিআইডির পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া থানা ও জেলা পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কয়েক দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছে।</p> <p>গতকাল দুুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, তিন শিশুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশের একাধিক দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আছে সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল। একই সঙ্গে পিবিআই এবং ডিবি পুলিশ পৃথকভাবে কাজ করছে। তিনি আশা করেন, অল্প সময়ের মধ্যে এই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হবে পুলিশ।</p>