ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
দ্রুত বিচার আইনের মামলা

প্রথম সাক্ষ্য সাড়ে ৬ বছর পর!

আশরাফ-উল-আলম
আশরাফ-উল-আলম
শেয়ার
প্রথম সাক্ষ্য সাড়ে ৬ বছর পর!

আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন করা কিছু অপরাধের সংক্ষিপ্ত সময়ে বিচারের জন্য। এ আইনে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করার পর ৬০ কার্যদিবসে বিচারকাজ সম্পন্ন করার কথা বলা আছে।

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এমন একটি দ্রুত বিচার আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর ছয় বছর সাত মাস ১১ দিন পর গতকাল প্রথম একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন। এত দিন পর্যন্ত মামলার তারিখের পর তারিখ পড়ছে।

দেশের আদালতগুলো মামলাজটে আবদ্ধ থাকলে এ মামলা নিষ্পত্তির তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ঢাকা মহানগর হাকিম ও দ্রুত বিচার আদালত-৭-এ মামলাটি বিচারাধীন।

গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী মো. মাসুদ রানা। তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, আসামিদের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ নেই।

আদালতের প্রশ্নের জবাবে বাদী বলেন, তিনি চাকরি করেন। মালিক তাঁকে মামলাটি আসামিদের সঙ্গে আপস করতে বলেছেন। তাই তিনি আপস করেছেন। অথচ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

আদালতে উপস্থিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, আপসই যদি হবে তাহলে এত দিন ধরে আদালতে হাজির না হওয়ার কারণ কী।

এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (রবিবার) এই মামলার বাদী প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন। উভয় পক্ষের মধ্যে আপস হওয়ায় তিনি সাক্ষ্য দেন। আদালত মামলার সব কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে আগামীকাল (আজ সোমবার) রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মো. মাসুদ রানা ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটিডের একজন প্রকৌশলী।

রাজধানীর ২২৪/১, নিউ ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ির নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় এলাকার আলী এহসান ওরফে জীবন ব্যাপারী, বিল্লাল হোসেন গাজী, মো. সিরাজ, মো. সুমন, সাঈদসহ আরো চার-পাঁচজন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মাসুদ রানা চাঁদার টাকা দিতে অসম্মত হলে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত অনুমান পৌনে ১১টার সময় নির্মাণাধীন ওই ভবনে প্রবেশ করে নির্মাণসামগ্রী ভাঙচুর করে ত্রাস সৃষ্টি করে অভিযুক্তরা। এ কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে অভিযুক্তরা মাসুদ রানা ও ভবনের নিরাপত্তীরক্ষীকে বেদম মারধর করে মারাত্মক জখম করে। মাসুদ রানার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জীবন ব্যাপারীকে ধরে ফেলে। খবর দেওয়া হলে রমনা থানার পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়।

ঘটনার পরদিন প্রকৌশলী মাসুদ রানা রমনা থানায় মামলা করলে মামলাটি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ৪ ও ৫ ধারায় থানায় রেকর্ড হয়। দ্রুত বিচার আইনের বিধান মতে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় রমনা থানার পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই নাজমুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে দেখা যায়, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার বাদীসহ ৯ জনকে সাক্ষী করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম ও মামলা রুজুকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহীনুর আলম রয়েছেন। মামলার অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে সমন, অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন আদালত। কিন্তু কোনো সাক্ষীই আদালতে হাজির হয়নি।

আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, দ্রুত বিচার আইন ৬০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু তা হয়নি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ