বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে ২২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ নৌ রুট সচল হওয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের মুখে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সকাল সাড়ে ৯টায় ১৬টি ফেরি দিয়ে যান চলাচল শুরু করে বিআইডাব্লিউটিসি। পাশাপাশি ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট দিয়ে ঈদ যাত্রীদের পারাপার শুরু হয়।
শিমুলিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বেশ চাপ ছিল। ফেরি ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সি-বোট ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল।
কথা হলো ইতালিপ্রবাসী শরীয়তপুরের জুনায়েদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করতে চার বছর পর তিনি দেশে ফিরেছেন। ভোররাতে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরি পারাপারের জন্য বসে আছেন। দুপুর ১টা বাজলেও তিনি নিশ্চিত নন, কখন ফেরিতে উঠতে পারবেন।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম নাসির চৌধুরী জানান, বুধবার সকাল থেকেই বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চ ও স্পিডবোট। এতে বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় পদ্মায় প্রচণ্ড সে াতের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে নৌপথ বন্ধ থাকায় কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকামুখী কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো আটকে পড়ে। এ সময় শত শত যানবাহন ঘাটে আটকে পড়ে ভোগান্তি পোহান যাত্রী ও শ্রমিকরা। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর পশুবাহী ট্রাক পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
মন্তব্য