ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

গ্রামীণফোন-রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিং প্রত্যাহার, এনওসি দেওয়া বন্ধ

  • সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করার জের
বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
গ্রামীণফোন-রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিং প্রত্যাহার, এনওসি দেওয়া বন্ধ

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের জন্য এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রথম অপারেশনাল ব্যবস্থা থেকে সরে এসে দ্বিতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দ্বিতীয় ব্যবস্থায় এই দুই অপারেটরকে তাদের গ্রাহক সেবার নতুন কোনো প্যাকেজ এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদেশ থেকে কোনো যন্ত্রপাতি আমদানির এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দেওয়া হবে না। এতে অপারেটর দুটির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যাবে।

এর আগে গত ৪ জুলাই প্রথম ব্যবস্থায় গ্রামীণফোনের ৩০ আর রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ কমিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে গতকাল বুধবার এ ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। ফলে অপারেটর দুটির গ্রাহকরা ১৩ দিন আগের মতোই ইন্টারনেট সেবা পাবে।

গতকাল বিকেলে বিটিআরসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাটির চেয়ায়ম্যান মো. জহুরুল হক। তিনি বলেন, ‘এক দশক আগে অডিটে গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ হয় তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

গ্রামীণফোন তখন উচ্চ আদালতে গেলে আদালত আন্তর্জাতিকমানের অডিট ফার্ম দিয়ে আবার অডিট করতে বলেন। আদালতের নির্দেশ মেনে আবার অডিটে গ্রামীণফোনের কাছে পাওনার  পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিটিআরসির পাওনা আট হাজার ৪৯৪ কোটি এক লাখ টাকা এবং এনবিআরের পাওনা চার হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর অডিটে রবির কাছে পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকা।
এর মধ্যে এনবিআরের পাওনা ১৮৯ কোটি টাকা। বিটিআরসি থেকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও এই দুই মোবাইল অপারেটর এ টাকা দিচ্ছে না। এ কারণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা তাদের ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিং করার সিদ্ধান্ত নিই।’

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, গত মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিংয়ের ওই ব্যবস্থা গ্রাহকদের স্বার্থের পরিপন্থী বিবেচিত হয়। এ কারণেই ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিং তুলে নিয়ে গ্রামীণফোন ও রবির এনওসি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের পাওনা টাকা মাপ করে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। ওরা সালিস আইন, ২০০১-এর অধীনে নিষ্পত্তির দাবি জানালেও আইনে সে সুযোগ নেই। আবার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে গেলেও অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, টাকা পেয়ে যাব। রাষ্ট্রীয় টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে।’

প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা আদায়ের জন্য বিটিআরসি গত ২২ মে তাদের ২২৭তম সভায় এ দুই অপারেটরের বিরুদ্ধে আট ধরনের অপারেশনাল ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৪ জুন কালের কণ্ঠে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ব্যান্ডউইডথ ক্যাপিং ও এনওসি বন্ধ ছাড়াও সম্ভাব্য অন্য ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—এমএনপি পোর্ট ইন বন্ধ বা সীমিত করা, নতুন গ্রাহক নেওয়া বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে বা আইজিডাব্লিউ পাওয়া থেকে অন্তর্গামী বা বহির্গামী কল বন্ধ বা সীমিত করা, আইসিএক্স বা ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে স্থানীয় কল বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া এবং নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এসএমএসের মাধ্যমে সারা দেশ বা নির্দিষ্ট এলাকায় ৩জি ও  ৪জি সেবা বন্ধ করে দেওয়া।

এ ছাড়া গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাওনা টাকা আদায় না হলে একসময় এই দুই প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগও করা হতে পারে।

গত ১৩ দিন গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেওয়ার ফলে সরকারের কত টাকার রাজস্ব ক্ষতি হলো—এ প্রশ্নে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এনওসি বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকদের ওপর কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে—এ প্রশ্নে চেয়ারম্যানের জবাব, ‘বড় কোনো পদক্ষেপের ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। বৃহৎ কল্যাণের জন্য ক্ষতি মেনে নিতে হবে।’

গ্রামীণফোন ও রবির প্রতিক্রিয়া : বিটিআরসির সব শেষ এই পদক্ষেপ সম্পর্কে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে গতকাল বলা হয়,  ‘ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ কমানোর সিদ্ধান্তটি উঠিয়ে নেওয়ায় বিটিআরসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি বিরোধ নিষ্পত্তিতে আলোচনা এবং সালিস প্রক্রিয়াই সবচেয়ে ভালো পন্থা।’

আর রবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অনাপত্তিপত্র (এনওসি) বন্ধের সিদ্ধান্তে গ্রাহকের ওপর বহুমাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। টেলিযোগাযোগ খাতে জড়িত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন নেটওয়ার্ক পার্টনার, এনটিটিএনসহ আইটিসামগ্রী ও সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন লাইসেন্স পাওয়া তিনটি টাওয়ার কম্পানির ব্যবসাও এর ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইউনিসেফের শোক

শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।  গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।

আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিসেফ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং প্রশিক্ষিত সমাজকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের এই কঠিন সময়ে মানসিক সহায়তা দেওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয়, গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষা করে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়, যেন তাদের ওপর কোনো বাড়তি মানসিক চাপ না পড়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্প্রদায়ের প্রতি আরো সহানুভূতিশীল আচরণ নিশ্চিত হয়।

মন্তব্য

‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
‘বোনের কাছে আমার লাশটা পৌঁছে দিয়ো’

মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

তবে নিজে বিয়ে করেননি। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগমের সংসার বলতে ছিল শিক্ষার্থীরাই।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।

গত সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। সোহাগপুরে মাসুকার বড় বোন পাপিয়ার স্বামীর বাড়ি। মৃত্যুর আগে মাসুকা জানিয়েছিলেন, লাশটা যেন তাঁর বোনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বোনের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ দাফনের কথাও তিনি বলে যান। মাসুকাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকূট গ্রামে। তবে বেড়ে উঠেছেন পৌর এলাকার মেড্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করা মাসুকা চাকরির সুবাদে চলে যান ঢাকা। প্রথমে মিরপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
এরপর যোগ দেন মাইলস্টোন স্কুলে।

মন্তব্য

মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাইলস্টোনে অনভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে যা বলল আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।

সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সেনা সদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনা সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেওড়াপাড়ায় আবাসিক ভবনে আগুন, ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

৭টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। মিরপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. আফজাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে চার হাজার ৫০০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ