ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা আদায়!

অভিযোগ চট্টগ্রামের ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে

  • আদালতে মামলা আ. লীগ নেতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
অভিযোগ চট্টগ্রামের ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামে থানায় ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগে নগরের পাঁচ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মো. নুরুল আবছার নামে আওয়ামী লীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতা ও ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা ও বিশেষ জজ মোহাম্মদ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের পরিচালককে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পতেঙ্গা থানার সাবেক ওসি আবুল কাসেম ভূঁইয়া, এসআই প্রণয় প্রকাশ, এসআই আবদুল মোমিন, এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা, এএসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই মিহির।

অন্য তিনজন স্থানীয় মাদক বিক্রেতা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা হলো ইলিয়াছ ওরফে গাভী ইলিয়াছ, মো. জসিম ও মো. নুরুল হুদা।

বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান জানান, মামলার বাদী মো. নুরুল আবছার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির ধর্মবিষয়ক সাবেক সহসম্পাদক ও একজন ব্যবসায়ী। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১ জুন বিকেলে মোবাইল ফোনে কল করে পতেঙ্গা থানার এসআই প্রণয় প্রকাশ তাঁর অবস্থান জানতে চান এবং বাসা থেকে রাস্তায় গিয়ে দেখা করতে বলেন।

১৫ মিনিট পর তিনি সেখানে যান। এর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে হাজির হন এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা, এসআই আবদুল মোমিন, এএসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই মিহির। তাঁরা তাঁকে থানায় গিয়ে ওসি আবুল কাসেমের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। এরপর ওই পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নুরুল আবছার থানায় যান।
সেখানে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর কাছ থেকে এএসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি ও টাকা-পয়সা নিয়ে নেন। পরে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

বাদি নুরুল আবছার বলেন, ‘পরের দিন দুপুরে এসআই আবদুল মোমিন ও এসএসআই মিহির কক্ষে এসে আমাকে বলেন, তুই ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করিস। জীবিত থাকতে হলে ৩০ লাখ টাকা দিবি। না দিলে ইয়াবা দিয়ে ক্রসফায়ারে দিব।

’ এরপর অন্য কর্মকর্তারাও ৩০ লাখ টাকার জন্য তাঁকে ভয়ভীতি দেখান।

অভিযোগে নুরুল আবছার বলেন, ওই সময় কোনো উপায় না দেখে তিনি ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা আনান এবং এসআই আবদুল মোমিন ও এএসআই কামরুজ্জামান ওই টাকা গ্রহণ করেন। এর পরই এসআই প্রণয় প্রকাশ ও এসআই আবদুল মোমিন ৩০ লাখ টাকার অবশিষ্ট ১৫ লাখ দিতে বলেন। অন্যথায় ক্রসফায়ারে মৃত্যু অথবা প্রদর্শিত ইয়াবা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি আর কোনো টাকা না দেওয়ায় এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা বাদী হয়ে গত বছরের ৩ জুন পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ৪০ বোতল বিদেশি মদ নিজ হেফাজতে রেখে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫(বি) ধারায় অপরাধ করার কথা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর প্রায় দুই মাস জেল খেটে ২৯ জুলাই জামিনে কারাগার থেকে বের হন নুরুল আবছার। এ নিয়ে তিনি দুদকেও লিখিত অভিযোগ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমানে সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, ‘নুরুল আবছার পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সারা দেশে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ