একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন তিনি। কিন্তু মান্নার গলায় কাঁটা হয়ে দেখা দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বগুড়া-২ আসনে মান্নার গলার কাঁটা জামায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সূত্র জানায়, বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতেই জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বগুড়া-২ আসনে মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও প্রার্থী রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি ও বর্তমান এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি জামায়াত নেতা মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের জামাল উদ্দিন এবং মুসলিম লীগের শফিকুল ইসলাম। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। সেই সময় ডাকসুর সাবেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না জনতা মুক্তি পার্টি থেকে কাস্তে প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে দুই হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ১১ জনের মধ্যে অষ্টম স্থান লাভ করেন।
আলোচিত আসনটিতে ১৯৯৬ সালে এমপি হন বিএনপির এ কে এম হাফিজুর রহমান। মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
ভোটার ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় স্পষ্ট, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মান্নার ধানের শীষ ও শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর লাঙল প্রতীকের মধ্যে। তবে কোনো কারণে জামায়াতের নেতা মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে হিসাব হবে অন্য রকম। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলেও শাহাদাতুজ্জামান এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্টলে চায়ের আড্ডা, হাটাবাজারসহ নানা এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বগুড়া-২ আসনে ভোটের হিসাব অত্যন্ত সহজ। আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছেন। জোটের স্বার্থে জামায়াতের প্রার্থী সরে দাঁড়াবেন।’
সম্পর্কিত খবর

জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
অছাত্রদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবি
- শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
তদন্ত কমিটি থেকে জবিশিসের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে অছাত্রদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে দাবিগুলো জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন আহমেদ মারুফ বলেন, বিভাগে ছাত্রদল কর্তৃক হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও কোনো বিবৃতি দেয়নি। শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ছাত্রলীগের আমলেও হয়নি। তাহলে ৫ আগস্টের পর তারা এই সাহস কোথায় পায়?
শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরে বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরফান হোসেন বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ : এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেছেন।
শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়নি বলে দাবি করেছে জবি ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল এবং সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন : এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। কমিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি দ্রুতই কার্যক্রম শেষ করে পদক্ষেপ নেবে।

যশোরে দুই কোটি টাকার ১১ সোনার বারসহ তিনজনকে আটক
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ১১টি সোনার বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে, যাঁদের পাচারকারী বলছে বিজিবি। গতকাল রবিবার ভোরে উপজেলার ধলগাঁ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি। আটক ব্যক্তিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে আতা এলাহি জীবন (৩৫), গাজীপুরের কাশিমপুর থানার পূর্ব বাগবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৬) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানিহাট গ্রামের সুচিত্র লাল মণ্ডলের ছেলে রাম প্রসাদ মণ্ডল (২৮)। তাঁদের প্যান্টের পকেট ও মানিব্যাগ থেকে এক কেজি ৩১৫ গ্রাম ওজনের ১১টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিল কারা কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাজা মওকুফ করে এক আদেশে ২৯ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার কারা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, কারাগারে আটক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে যাঁদের সাজা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আরো ২৯ জন বন্দিকে সরকারের কারা বিধি ৫৬৯ মোতাবেক ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১(১) এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা এ নিয়ে এ বছর মোট মুক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭ জনে।

মাহফুজ আলম
বড় শয়তান এখনো কাঁধে শ্বাস ফেলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় শয়তান এখনো কাঁধে শ্বাস ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে বলেন, ‘এখনো ঐক্যই দরকার। হঠকারীদের স্পেস দিলে বরং দেশের ক্ষতি হবে।