জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ গতকাল সাংবাদিকদের জানান, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত আখতার হামিদ সিদ্দিকী দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন।
গতকাল দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন আখতার হামিদ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে তিনি নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারও শোক প্রকাশ করেন।
আলহাজ আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু ১৯৪৭ সালের ৩০ মে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের উত্তরগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
এরপর তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং ওই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে আখতার হামিদ সিদ্দিকীর মৃত্যুর খবরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা মহাদেবপুর-বদলগাছীতে শোকের ছায়া নেমে আসে। জাতীয় সংসদের এ আসন থেকে ১৯৯১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি পর পর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি ডেপুটি স্পিকার মনোনীত হন।
মৃত্যুকালে আখতার হামিদ সিদ্দিকী স্ত্রী নাজনীন সিদ্দিকী, দুই ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী ও মেজবাহ আরেফিন সিদ্দিকী এবং মেয়ে ফারিয়া আজীম সিদ্দিকীকে রেখে গেছেন। পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাবার মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ (গতকাল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে কাল (আজ সোমবার) সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হবে। এরপর বাবার মরদেহ তাঁর জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।’