বিদ্যুৎ বিভাগ বহু আগেই রান্নার কাজে বৈদ্যুতিক হিটারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। হিটারের মাধ্যমে এখন আর রান্না করতে দেখা যায় না। তবে হিটার ব্যবহার বন্ধ হলেও এখন তার জায়গা নিয়েছে বিদ্যুত্চালিত ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলা। সারা দেশ ছেয়ে গেছে এসব চুলায়।
হিটারের বিকল্প ইন্ডাকশন চুলায় বাজার সয়লাব
আরিফুজ্জামান তুহিন

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশ এবং চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, পাবনাসহ দেশের একটি অংশের মানুষ পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করে থাকে। শীতের সময় এসব এলাকার গ্রাহকরা গ্যাসের সংকটে পড়ে। কিন্তু এবার শীত শেষে গ্রীষ্মেও পাইপলাইনের গ্যাসের চাপ কম।
জানা গেছে, গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রান্নার কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তা বিদ্যুতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। এ কারণেই হিটারের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। এখন ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার ব্যবহার বেড়ে গেলে তা নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে। এসব চুলার ব্যবহার বন্ধে গ্রাহকের জন্য সুলভে জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গেছে, ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো বৈঠকে আজ পর্যন্ত কোনো আলোচনাও হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব সিদ্দিকী জোবায়ের বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতিতে নেই যে বিদ্যুৎ দিয়ে রান্না করা যায়। কিন্তু এর পরও বাজারে এসব চুলা বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে আমার জানা মতে দেশের উত্তরাঞ্চলে এই চুলার ব্যবহার বেশি।’
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন দোকানে এখন ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলা পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর দাম পড়ছে সর্বনিম্ন দুই হাজার ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার হাজার ২০০ টাকা। গ্রাহকরা বলছে, এসব চুলায় সাধারণ গ্যাসের চুলার মতো সব ধরনের রান্না করা যায়। তাপমাত্রা বাড়ানো বা কমানো যায়, বিদ্যুৎ বিলও কম আসে।
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।