ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন প্রকল্প

নিখিল ভদ্র
নিখিল ভদ্র
শেয়ার
দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন প্রকল্প

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ১৩১ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ‘দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থানের সহায়তা প্রকল্প’টি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৫৯ উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত বিআরডিবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের সংগঠিতকরণ, মূলধন সৃষ্টি, বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেওয়াসহ ভবন নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে; যা দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে সমবায়, দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণোত্তর সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সেবা ও পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত বিশেষ কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমের আওতায় ২৮ লাখ সমবায়ী নারী-পুরুষের নিজস্ব সঞ্চয় আমানত প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা। এ কার্যক্রমের অধীনে ১৮টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে প্রায় ৬৭ হাজার অনানুষ্ঠানিক দল বা পল্লী উন্নয়ন সমিতি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিআরডিবির ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ তহবিল ৯৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার।

বার্ষিক বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৯৯০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনে কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৬০ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ের অপ্রধান শস্য উত্পাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণের কর্মসূচি (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে ৬৪ জেলার ২৫৬টি উপজেলায়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষক, প্রান্তিক চাষি ও বর্গা চাষিদের সমন্বয়ে দল গঠন, অপ্রধান শস্য উত্পাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া, অপ্রধান শস্যের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন এবং ৪ শতাংশ সুদে সুফলভোগীদের ঋণ গ্রহণে সহায়তা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ষাটের দশকের শেষভাগে ড. আখতার হামিদ খানের উদ্ভাবিত বিশ্বনন্দিত কুমিল্লা মডেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে পল্লী উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়। এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ‘দ্বি-স্তর সমবায় সমিতি’। স্বাধীনতার পর জাতীয়ভাবে ‘সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি (আইআরডিপি)’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে সরকারের অধ্যাদেশ নম্বর ৫৩/১৯৮২ অনুসারে আইআরডিপিকে উন্নীত করে বডি করপোরেট হিসেবে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এর যাত্রা শুরু হয়।

এতে দেশের সব উপজেলার পল্লী অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, বর্গা চাষি, বিত্তহীন জনগোষ্ঠী, দুস্থ ও অসহায় নারী, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষায়িত অঞ্চলের পশ্চাত্পদ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যাদের অনেকেই সফলতা পেয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ