পূর্ণ বয়সেই চলে গেলেন আবেদ ভাই। তা সত্ত্বেও মনে হয় আরো কয়টা বছর বেঁচে থাকলে আরো কিছু উদ্ভাবনমূলক জনসম্পৃক্ত কাজ করে যেতে পারতেন তিনি। প্রতিষ্ঠান গড়ার এক অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেই তিনি ক্ষান্ত হননি।
বঞ্চিতজনের স্বপ্নসারথি
- ড. আতিউর রহমান
অন্যান্য

সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু, উপকূলের সেই ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার লাখ লাখ দুঃখী মানুষের জীবনসংগ্রাম তাঁকে স্বদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে যুক্ত হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এর পরপরই হলো জাতীয় নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট পেয়েও পাকিস্তানি এলিটদের ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষমতায় বসতে পারলেন না। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। তিনি যুক্তরাজ্যে চলে গেলেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য। হাত বাড়িয়ে দিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নানা মাত্রিক সহযোগিতার জন্য প্রবাসেই গড়লেন সহমর্মী সংগঠন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদেশে কেনা নিজের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শেষে ফেরত আসা অসহায় শরণার্থীদের জন্য গৃহনির্মাণ ও ত্রাণ দেওয়ার কাজে লেগে পড়েন। শুরুতে পুনর্বাসনের কাজ করলেও ব্র্যাক একটি উন্নয়ন সংগঠনে রূপান্তরিত হলো তাঁর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের স্পর্শে। তিনি ভাবলেন শুধু ত্রাণ দিয়ে এই দুর্ভাগা মানুষদের দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্ত করা যাবে না। তাই শুরু করলেন উদ্ভাবনমূলক উন্নয়ন সংগঠন গড়ার নয়া কর্মসূচি। নেমে পড়লেন উপেক্ষিত মানুষের আর্থিক-সামাজিক মুক্তিসংগ্রামে। শুরুতে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের দুঃখের কারণগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই তিনি বুঝতে পারলেন যে শুধু অর্থের অভাবেই মানুষ দরিদ্র হয় না। আসল অভাব তার সক্ষমতার। ভরসার। তাই তিনি তাঁর কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এলেন ক্ষমতাহীন নারীকে। তাদের সংগঠিত করতে শুরু করলেন আস্থার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে। দুঃখী নারীকে সংগঠিত করে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টির অধিকার অর্জনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। তাদের সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য টিকা দেওয়া, মুখের স্যালাইন, ভিটামিন খাওয়ানো, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাসহ নানা ধরনের কম খরচের উন্নয়ন উদ্যোগ চালু করলেন। বঞ্চিতজনদের সন্তানদের আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা দেওয়ার অভিনব ‘ব্র্যাক স্কুল’ স্থাপনের উদ্যোগের সঙ্গে সমাজের নানা স্তরের সংগঠকদের যুক্ত করলেন। শিক্ষা ছাড়াও কৃষি, পুষ্টি, কুটির শিল্পসহ অসংখ্য সৃজনশীল উদ্যোগ নিলেন দেশজুড়ে। এসব উদ্যোগে তিনি সরকারকেও পার্টনার করলেন।
আর সে কারণেই তাঁর সংগঠন খুবই পেশাদারি পরিচয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে করে বেড়ে উঠেছে। আজ সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সংস্থাটির নাম ব্র্যাক। ১১টি দেশে প্রায় ১২ কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যস্ত এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক শাখাটি। জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক এর দায়িত্বে রয়েছেন। সমাজের সব মানুষকে সমাবেশ করার দারুণ এক ক্ষমতা ছিল তাঁর। সেই সক্ষমতাবলেই তিনি আমার ঊর্ধ্বতন সহকর্মী বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. মাহাবুব হোসেনকে একপর্যায়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক করেছিলেন। মাহাবুব ভাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছিলাম বর্গাচাষি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ভাবনের সময়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্র্যাকের জন্য প্রথমে বছরে ৫০০ এবং পরে ৬০০ কোটি টাকার রিফিন্যান্সের ব্যবস্থা করেছিলাম। লাখ লাখ বর্গাচাষি পরিবারকে এর মাধ্যমে সস্তায় ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই ছিল নারী বর্গাচাষি। এই অর্থ পেয়ে কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি তারা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের সুযোগ বাড়াতে পেরেছিল। তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের নয়া দিগন্ত খুলে গিয়েছিল এই কর্মসূচির প্রভাবে।
এ ছাড়া আর্থিক খাতেও আবেদ ভাইয়ের সংগঠন গড়ার উৎসাহ ছিল প্রবল। ব্র্যাক ব্যাংক ছাড়াও মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর আগ্রহ ছিল উল্লেখ করার মতো। মনে পড়ছে, আমরা দুজনেই এর উদ্বোধন করেছিলাম র্যাডিসন হোটেলে। প্রতিষ্ঠানটি এখন কোটি কোটি গরিব-দুঃখী মানুষের এক ধরনের ব্যাংকিংয়ের স্বাদ উপভোগ করতে সাহায্য করছে। একই সঙ্গে মধ্যবিত্তের ইউটিলিটি বিল প্রদান এবং সরকারের স্কুল বৃত্তি ও অতিদরিদ্রদের সামাজিক সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ দেশের রিকশাওয়ালা, এমনকি ভিক্ষুকরাও এখন এর মাধ্যমে নিয়মিত আর্থিক লেনদেন করতে পারছে। আইপিডিসি, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফিন্যান্স কম্পানির পেছনেও তাঁর আগ্রহ ছিল ব্যাপক। আর মূলত খুদে ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ করে দিয়ে এবং সুশাসনের চমৎকার নজির স্থাপন করে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যতিক্রমী এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলেছে ব্র্যাক ব্যাংক। কয়েক দিন আগেও আবেদ ভাই এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন স্বতন্ত্র পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর। এই নয়া ধারার ব্যাংক পরিচালনার উদাহরণও আবেদ ভাই স্থাপন করে গেছেন। এসব সংস্থা থেকে যে উদ্বৃত্ত পাওয়া যায়, তা আবার সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করার সুযোগ পায় মূল সংগঠন ব্র্যাক। বাজারকে অনেকের মঙ্গলে কাজে লাগানোর এই উদ্যোগ দেশের কম আয়ের মানুষের অর্থায়নে বড় ধরনের সুযোগের সৃষ্টি করতে সাহায্য করে চলেছে। আবেদ ভাই জানতেন, বাজারকে বহু মানুষের কাজে লাগাতে পারলে তার সামাজিক প্রভাব ইতিবাচক হতে বাধ্য। আজকাল বাজারকে কতিপয়ের হাতে বন্দি করার যে দুঃখজনক প্রবণতা চোখে পড়ছে, তার বিপরীতে আবেদ ভাইয়ের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার আগ্রহ চিরদিন বঞ্চিতজনদের মনে আশা-জাগানিয়া উদাহরণ হিসেবে বজায় থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। ‘ইকোনমি অব স্কেলে’ বিশ্বাসী আবেদ ভাই সর্বদাই ছোট থেকে বড় হওয়ার চিন্তা করতেন। ‘করে করে শেখার’ মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী এই প্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগর যা কিছুই করতেন, তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। সরকারও তাঁর এই কাজে বরাবরই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সে কারণেই উন্নয়নের সংগ্রামে তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বের সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।
তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতেও অংশীদারির এই মডেল নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও মিলিন্দা বিল গেটস ফাউন্ডেশন, জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে অনেক উদ্ভাবনীমূলক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মসূচি তিনি চালু করেছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাঁর ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স স্টাডিজসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই তিনি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে উপযুক্ত মানবশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে। কৃষি ও প্রাণিজ সম্পদ উন্নয়নে ব্র্যাক অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। উপযুক্ত বীজ সরবরাহ ছাড়াও বিদেশি গাভি পালনের নানা আধুনিক সুযোগ তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে করতে পেরেছেন বলেই এ দুটি খাতে বাংলাদেশ বিরাট সাফল্যের দাবিদার হতে পেরেছে। সরকার ও ব্যক্তি খাতকে সঙ্গে নিয়েই তিনি আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি খাতের উন্নয়নে মনোযোগী ছিলেন। আর এমন যৌথ প্রয়াসই যে উন্নয়ন গতি পায়, সে ধারণাটি তিনি হাতে-কলমে প্রমাণ করে গেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর মনোযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। ব্র্যাকের শুরুর দিন থেকে তিনি নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক মর্যাদা, আইনি সহায়তা প্রদানসহ নানা ধরনের অ্যাডভোকেসিমূলক কাজকে উৎসাহিত করতেন। এসব কাজে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনকে যুক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর সুপ্রভাব নারীবিদ্বেষী কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা দূর করার ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে পড়েছে। আর বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে গ্রামবাংলায় নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করা অনেকটাই সহজ হতে পেরেছে।
এসব উদ্যোগের সঙ্গে, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে তিনি কাজ করতে উৎসাহ দিতেন ব্র্যাককে। দারিদ্র্য নিরসন যে একা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সরকারের কাজ নয়, সে কথাটি তিনি রবীন্দ্রনাথের মতোই বিশ্বাস করতেন। আর সেভাবেই তাঁর বহুমাত্রিক চিন্তা ও চেতনাকে সমাজে ও সংগঠনে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি সর্বদাই যুক্ত থাকতে চাইতেন। রাশেদা কে. চৌধুরীর ‘গণসাক্ষরতা অভিযানের’ আওতায় শিক্ষার গুণমানের গবেষণা ও প্রতিবেদনের তিনি ছিলেন বড় পৃষ্ঠপোষক। আমি নিজে ব্র্যাকের অতিদরিদ্রদের জন্য নেওয়া কর্মসূচির মূল্যায়ন করেছি। সিডিএফ বা ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি এবং আমার সহকর্মীরা তাঁর কাছ থেকে নৈতিক ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলাম বলেই আজ সংগঠনটি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে। এ রকম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ায় তাঁর সোনালি স্পর্শের কথা আজ খুব করে মনে পড়ছে। অনেকেই তাঁকে ছেড়ে গিয়ে নয়া ধরনের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে সর্বদাই সহায়ক আচরণ করেছেন। প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়েছেন। কখনো মন খারাপ করেননি। ‘পরশ্রীকাতরতা’ শব্দটি তাঁর ডিকশনারিতে অনুপস্থিত। সবাইকে নিয়ে কাজ করার এক বিরল নেতৃত্বের আদর্শ রেখে গিয়েছেন আবেদ ভাই।
শুধু দেশে কেন, পৃথিবীর সর্বত্রই তিনি দারিদ্র্র্য নিরসনের নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাদেশের সফল উন্নয়ন অভিজ্ঞতাকে তিনি বিদেশের দুর্ভাগা মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজে লাগাতেও সচেষ্ট ছিলেন। আফগানিস্তান, উগান্ডা ও আফ্রিকার অনেক দেশেই টেকনিক্যাল সহায়তা দিয়ে তিনি একসময়ের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বিদেশে বাংলাদেশের এক সফল ‘অ্যাম্বাসাডরে’র নাম স্যার আবেদ। উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের আমন্ত্রণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ব্র্যাকের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা শুনে সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। তিনি কিন্তু আসলে বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্যের গল্পই করছিলেন। আয়-রোজগার করে গরিব মানুষও যে একদিন ধনী হতে পারে—এই আত্মবিশ্বাসের বীজ তিনি বাংলাদেশ ও আরো ১০টি দেশে রোপণ করেছেন। তাই উন্নয়নজগতে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মিতভাষী, অন্যের কথা শুনতে বেশি আগ্রহী, বিশাল স্বপ্নদ্রষ্টা কিন্তু বাস্তবায়নে ছিলেন তিনি খুবই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সদা তৎপর। এই সফল মানুষের নেতৃত্ব থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্ব তাঁর বিদায়ের মধ্য দিয়ে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হলো। এমন বহুমুখী প্রতিভার আগমন আবার কবে ঘটবে এ দেশে, তা আসলেই বলা মুশকিল। তাই এই ক্ষতি সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। তবে তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যে বিকেন্দ্রীকরণ ও অংশগ্রহণমূলক নীতিকাঠামো রেখে গেছেন, তাতেই টেকসই হবে তাঁর গড়া সংগঠনগুলো। তিনি বেঁচে থাকবেন কোটি কোটি বাংলাদেশির এবং বিশ্বের দুঃখী মানুষের অন্তরে।
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
dratiur@gmail.com
সম্পর্কিত খবর