১৭. অতঃপর সে [মারিয়াম (আ.)] তাদের সঙ্গে পর্দা করল। পরে আমি তার কাছে আমার রুহ [জিবরাইল (আ.)]-কে পাঠিয়েছি। সে তার কাছে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। [সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ১৭ (তৃতীয় পর্ব)]।
পবিত্র কোরআনের আলো | ধারাবাহিক
মারিয়াম (আ.)-এর পর্দা
notdefined

তাফসির : মারিয়াম (আ.) গোসল করার জন্য পরিবারবর্গ থেকে আলাদা হয়েছেন। পরে তিনি মানুষের দৃষ্টির আড়ালে গোসল করার লক্ষ্যে পর্দা দিয়ে পুরো জায়গা ঢেকে দেন। এ সময় তাঁর কাছে মহান আল্লাহর ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এখানে দুটি বিষয় লক্ষণীয়।
নারীর প্রতি পুরুষের দুর্বলতা প্রাকৃতিক। ফলে নারীর দিক থেকে কোনো প্রশ্রয় পেলে পুরুষের মন অপরাধে প্ররোচিত হতে পারে। তাই কোরআনের নির্দেশনা হলো : ‘তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে এমন কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বোলো না, যার ফলে যে ব্যক্তির অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, সে মন্দ বাসনা করে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)।
নারীঘটিত অপরাধ রোধে মহানবী (সা.) নারীদের শালীন পোশাক পরিধান করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একদল নারী পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করে, নিজেরাও অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাদের মাথা উটের পিঠের কুঁজের মতো হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না; এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ অনেক দূর থেকেও পাওয়া যায়।’ (মুসলিম : ২/২০৫)।
পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক। স্বর্ণ-রুপা, হীরকখণ্ড লোকচক্ষু থেকে আড়াল করে আলমারির সিন্দুকের কুঠুরিতে রাখা হয়। এতে ওই সব বস্তুর হেফাজত হয়। পর্দার বিষয়টিও অনুরূপ। পর্দা ইসলামের অকাট্য বিধান। কোরআন শরিফে অনেক আয়াতে এ বিধানের কথা রয়েছে। কোনো ঈমানদারের পক্ষে এই বিধানকে হালকা মনে করার সুযোগ নেই।
গ্রন্থনা : মুফতি কাসেম শরীফ
সম্পর্কিত খবর