বাংলার বাউল গান ও বাউল সাধনার ধারা-উপধারা নিয়ে বাংলাদেশে তো বটেই, ভিন্নভাষী ও বিভিন্ন দেশের মানুষের সীমাহীন আগ্রহের বীজ সাম্প্রতিককালে অতি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু এর পরও বাউলতত্ত্বের মূলকথা সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই স্পষ্ট কোনো ধারণা তেমনভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় না। তাই প্রয়োজন বোধ করছি বাংলার বাউল সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য প্রদানের। আমাদের বিশ্বাস, এখানে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে খুব সহজে বাংলার বাউল সম্পর্কে সাধারণ একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
বাংলার বাউল, যে খোঁজে মানুষে খোদা
সাইমন জাকারিয়া

আসলে বাংলার বাউল, বাউল মত ও বাউলসংগীত সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলা প্রয়োজন, বাউল সাধনা, দর্শন তথা বাউল গান নিয়ে নানা জনের নানা মত প্রচলিত। এই মতানৈক্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে 'বাউল' শব্দটি। আসলে, 'বাউল' শব্দটির অর্থ, তাৎপর্য, উৎপত্তি ইত্যাদি নিয়ে অদ্যাবধি গবেষকরা যেমন কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি, তেমনি 'বাউল মত'-এর স্বরূপ-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা প্রদান করতে পারেননি। নানা জনের নানা মত নিয়েই 'বাউল মত' বিষয়ে অমীমাসিংত আলোচনা চলছে এবং চলমান থাকবে বলেই আমাদের ধারণা।
বাউল মত ও তার উৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর 'বঙ্গে সূফি প্রভাব' গ্রন্থে নানা গবেষকের নানা মত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, সংস্কৃত 'বায়ু' থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি, তাঁদের মতে সংস্কৃত বায়ু=বাঙ্গালা 'বাই', 'বাউ' শব্দের সঙ্গে স্বার্থে 'ল' প্রত্যয়যোগে বাউল শব্দটির উৎপত্তি। এই মতানুসারী গবেষকদের ভাষ্যে জানা যায়, বাংলার যেসব লোক 'বায়ু' অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসক্রিয়ার সাহায্যে সাধনার মাধ্যমে আত্মিক শক্তি লালন করার চেষ্টা করেন, তাঁরাই বাউল।
মুহম্মদ এনামুল হক গবেষকদের ভাষ্য মেনে বাউল শব্দের উৎপত্তিগত উৎসের বিবেচনা করে আরো বলেছেন, সংস্কৃত 'বাতুল' শব্দ থেকে 'বাউল' শব্দটির উৎপত্তি, প্রাকৃত ব্যাকরণ মতে, দুই স্বরবর্ণের (এখানে 'আ' এবং 'উ') মধ্যবর্তী ব্যঞ্জনবর্ণ (এখানে 'ত') লোপ পায়, আসলে এই সূত্র মতেই 'বাতুল' শব্দটি 'বাউল' হয়ে গেছে। গবেষকদের মতে, যেসব লোক প্রকৃতই পাগল, তাই তাঁরা কোনো সামাজিক বা ধর্মের কোনো বিধিনিষেধ মানে না, তাঁরাই বাউল।
বাউল মতের স্বরূপ নির্ধারণের প্রশ্নে আরেক দল গবেষকের কথা বলে মুহম্মদ এনামুল হক জানিয়েছেন, প্রাকৃত 'বাউর' শব্দ থেকে 'বাউল' শব্দটি উৎপত্তি লাভ করেছে। 'বাউর' অর্থ এলোমেলো, বিশৃঙ্খল ও পাগল। এই দলের মতে, বাংলার বাউলদের মতো একদল বিশৃঙ্খল চিন্তাজীবী লোক উত্তর ভারতে প্রত্যক্ষ করা যায়, বাংলার বাউল চিন্তার দিক থেকে তারা এক গোষ্ঠীভুক্ত। সুতরাং উত্তর ভারতীয় প্রাকৃত শব্দ 'বাউর' বাংলাদেশে 'বাউল' শব্দে পরিণত হয়ে থাকবে, কেননা লোকায়ত সমাজে উচ্চারণ-ধ্বনির দিক দিয়ে 'র' ও 'ল' বর্ণের সাদৃশ্য থাকায় অনেক ক্ষেত্রে এই দুটি বর্ণ পরস্পরের রূপ গ্রহণ করে থাকে।
আরেক শ্রেণীর গবেষকের ভাষ্য অনুযায়ী এনামুল হক বলেন, 'বাউল' শব্দকে 'আউল' শব্দের পৌনঃপুনিক অপভ্রংশ বলে মনে করেন, তবে তাঁরা এ কথা মনে করেন না যে 'আউল' শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত 'আকুল' শব্দ থেকে, তার বদলে মুসলমান সাধক অর্থে আরবি 'অলি' শব্দের বহুবচন 'আউলিয়া' শব্দ থেকে 'ইয়া' প্রত্যয়ের পতনে উৎপত্তি বলে মনে করে থাকেন।
গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক 'বাউল' শব্দের উৎপত্তি ও তার অর্থ সম্পর্কে উপর্যুক্ত নিষ্পত্তিগুলো উদ্ধৃতি দিয়ে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, 'বাউল সম্প্রদায়ের নাম বাউলেরা নিজে গ্রহণ করে নাই। সাধারণ বাউল-বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করিয়াই, দেশের লোক তাহাদিগকে এই নাম দিয়াছে।'
এই বক্তব্যের সঙ্গে এ কথা যুক্ত করা অসংগত হবে না যে বাউলরা নিজেরা যেহেতু নিজেদের বাউল নামটি দেননি, সেহেতু 'বাউল' শব্দটির উৎপত্তি ও ব্যাখ্যা নিয়ে নানা ধরনের মত প্রচলিত রয়েছে; কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে বাউল মতের মর্মকথা অনুধাবন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।
এ পর্যায়ে বাউল সাধকের রচিত সংগীতের বাণীকে আশ্রয় করেই বাউল মতের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা যেতে পারে। যেমন- একটি বাউলসংগীতের বাণীতে পাওয়া যাচ্ছে-
যে খুঁজে মানুষে খুদা
সেই তো বাউল
বস্তুতে ঈশ্বর খুঁজে
পাই তার উল
পূর্ব জন্ম না মানে
ধরা দেয় না অনুমানে
মানুষ ভজে বর্তমানে
হয় রে কবুল
বেদ তুলসী মালা টেপা
এসব তারা বলে ধুঁকা
শয়তানে দিয়ে ধাপ্পা
করে ভুল
মানুষে সকল মেলে
দেখেশুনে বাউল বলে
দীন দুদ্দু কি বলে
লালন সাঁইজির কুল
চুয়াডাঙ্গার সাধক-শিল্পী লতিফ শাহর কণ্ঠে শোনা এই গানটির রচয়িতা হলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ অঞ্চলের বাউল সাধক দুদ্দু শাহ। উপর্যুক্ত সংগীতের বাণীতে 'বাউল মত' তথা বাউলতত্ত্বের মূলকথাটা অত্যন্ত সহজ-সরলভাবে প্রকাশ পেয়েছে। কেননা বাংলার বাউলদের মূল পরিচয়ের প্রধানতম একটি দিক হলো, তাঁরা মানুষেই স্রষ্টার সন্ধান করেন। দ্বিতীয় দিক হলো, তাঁরা প্রচলিত ধর্মগোষ্ঠীর লোকদের মতো অনুমানে বিশ্বাস করেন না, এমনকি পূর্বজন্ম বা জন্মান্তরবাদকে মানতে নারাজ; তৃতীয়ত বেদ তুলসী মালা টেপাকে তাঁরা ধোঁকার কাজ বলে গণ্য করেন। আসলে, প্রচলিত ধর্মীয় চেতনার বাইরে দাঁড়িয়ে বাংলার বাউল মত মূলত 'মানুষে সকল মেলে'- এই তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে।
বাউল গবেষক শক্তিনাথ ঝা তাঁর ব্যাখ্যায় বলেছেন, 'বাউল মতবাদ কোনো ধর্ম নয়। সম্প্রদায় কথাটি শিথিলভাবে এখানে ব্যবহৃত হতে পারে। বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠী ও সামাজিক স্তরের ব্যক্তিবিশেষ গুরুর কাছ থেকে এ মতবাদ, গান ও সাধনা গ্রহণ করে নিজ নিজ সামর্থ্য ও সংস্কার অনুযায়ী তা পালন করতে চেষ্টা করে এবং এক শিথিল স্বেচ্ছামূলক মণ্ডলী গঠন করে। সাধক আবার গুরু হিসেবে বিশিষ্ট হয়ে পৃথক এক বৃত্ত নির্মাণ করে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য ও বৈচিত্র্য দুই-ই আছে। বাউলতত্ত্বে এবং সাধনায় প্রচলিত মূল্যবোধ ও আচারকে বিপরীত রূপে আদর্শায়িত করা হয়, প্রচলিত শাস্ত্রবিরোধী সাধনা নানা বৈচিত্র্যমণ্ডিতরূপে বাউল জীবনচর্যা রচনা করেছে। অলৌকিক ঈশ্বর, দেহব্যতিরিক্ত আত্মা, স্বর্গাদি পরলোকে অবিশ্বাসী বাউল ইহবাদী, দেহবাদী। আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিধিবিধানের প্রতিবাদী মানুষেরা বাউল মতবাদ গ্রহণ করে।'
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র বাউল মতের প্রভাব রয়েছে। তবে একেক অঞ্চলের বাউল মত একেক রকমভাবে বিকাশ লাভ করেছে। যেমন- কুষ্টিয়া অঞ্চলের লালনপন্থী বাউল সাধকদের সাধনা-পদ্ধতি, জীবনাচার-বেশবাস, সাধুসঙ্গ, এমনকি গায়কি ও গানের সুর-বাণী ইত্যাদির সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ইত্যাদি অঞ্চলের বাউলদের তেমন কোনো সাদৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায় না। কিন্তু ভাবের দিক দিয়ে এবং সাধনার ঘর হিসেবে দেহকে আশ্রয় করার বিষয়ে কিছুটা মিল রয়েছে। আসলে সব অঞ্চলের বাউলরাই সাধনার আশ্রয় হিসেবে দেহকে অবলম্বন করে থাকেন এবং দেহঘরের মধ্যে তাঁরা সৃষ্টি-স্রষ্টার অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেন, আর গুরু-শিষ্য পরম্পরায় প্রায় সব অঞ্চলের বাউলরা সাধনার ধারা অব্যাহত রাখেন। এ ক্ষেত্রে গুরুকে তাঁরা স্রষ্টার সমতুল্য বিবেচনা করেন। তাঁরা মনে করেন, গুরু বা মুর্শিদকে ভজনা করার ভেতর দিয়ে স্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যায়। গুরু-শিষ্যের এই পরম্পরাভেদকে লালন সাঁইজি প্রকাশ করেছেন এভাবে-
যেহি মুর্শিদ সেই তো রাছুল
ইহাতে নেই কোন ভুল
খোদাও সে হয়;
লালন কয় না এমন কথা
কোরানে কয়
বাংলাদেশের বাউলরা এভাবেই অকাট্য যুক্তির আলোকে শরিয়তি গ্রন্থকে সামনে রেখেই গুরুবাদী ধারার সাধনচর্চাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, মানুষ-গুরু ভজনা এবং মানুষকে সিজদার যোগ্য বিবেচনা করে, তার ভেতর দিয়েই যে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ ইবাদত সম্ভব- বাংলার বাউল সাধকরা সে কথা ব্যক্ত করতেও দ্বিধা করেননি।
এ কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে বাংলার বাউল মত কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির সৃষ্টি নয়। তাই বাউলরা বৈষ্ণব, চিশতিয়া প্রভৃতি সাধকশ্রেণীর মতো কোনো বিশিষ্ট সম্প্রদায় নয়। বৈষ্ণব ও বিভিন্ন শ্রেণীর সুফি মতের অনুসারীরা যেমন তাঁদের প্রতিষ্ঠাতার নাম বলতে পারেন, বাউলরা তা পারেন না। অতএব, আদি বাউল কে, তা নিয়ে বিতর্কের কোনো শেষ নেই।
বাউল গবেষক শক্তিনাথ ঝা অবশ্য বিভিন্ন গবেষকের সূত্র মিলিয়ে বাংলার বাউল মতের প্রাচীনতম দৃষ্টান্ত দিয়েছেন চর্যার পদ, বৈষ্ণব পদাবলী, মঙ্গলকাব্য ইত্যাদি সাহিত্য নিদর্শনের উদ্ধৃতি ও ব্যাখ্যাসহকারে। তাঁর মতে, বাউলদের আদি গুরুর নাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও এ কথা অন্তত বলা যায়, বাংলার 'বাউল পন্থা কোনো অর্বাচীন মতবাদ নয়'।
বাউলদের স্বরূপ ও পরিচয় দিতে গিয়ে মুহম্মদ এনামুল হক বলেন, "'বাউল'দিগকে 'বাতুল'- অর্থাৎ পাগল বলা হয়। বাউলেরা যাঁহার সন্ধানে পাগল, তাঁহার কোনো নাম নাই,- তিনি 'অনামক'। তবে তাহারা তাঁহাকে যখন যাহা খুশি সেই নামে অভিহিত করে। তাই দেখিতে পাই, তাহারা তাঁহাকে 'মন-মনুরা', 'আলেক্', 'আলেখ্ সাঁই', 'অচিন পাখী', 'মনের মানুষ', 'দরদী সাঁই', 'সাঁই' প্রভৃতি কত নামেই না পরিচিত করিতে চেষ্টা করিয়াছে। এইরূপ যে নামেই তাহারা তাঁহাকে পরিচয় দিক না কেন, তিনি তাহাদের নিকট চিরদিনই 'অনামক'। হিন্দুর 'ব্রহ্ম', বৈষ্ণবের 'কৃষ্ণ' বা মুসলমানের 'আল্লাহ'-এর ন্যায় কোন একটি বিশিষ্ট নাম আরোপ করা তাহাদের স্বভাব নয়।" একই সঙ্গে সেই পরমসত্তাকে বাংলার বাউলরা সাধারণ ধর্মাচারী মানুষের মতো ভীতিকর এবং দেহ ও নিজের আত্মগত সত্তার বাইরের বস্তু বলেও মনে করেন না। বরং দেহকেন্দ্রিক ষট্চক্র যোগে সাধনায় আত্ম তথা স্রষ্টা দর্শনের অপূর্ব প্রশান্তি খুঁজে ফেরেন। বাংলার প্রখ্যাত ফোকলোর-সাধক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন তাঁর 'হারামণি' গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে 'বাউল সাধনা ও ষট্চক্র' শীর্ষক আলোচনায় দেহকেন্দ্রিক সাধনায় ষট্চক্রের অবস্থান এবং এই সাধনার প্রকৃতি বর্ণনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে মনসুরউদ্দীনের ভাষ্য হলো, 'ষট্চক্রের প্রধান কথা আত্মশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করা, শরীর-মধ্যস্থ শক্তিরূপিণী কুলকুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করা। কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত হলে অপরিসীম আনন্দের অধিকারী হওয়া যায়। তন্ত্রমতে শরীরে মঞ্জিল আছে, ছয়টি মঞ্জিলের ছয়টি নাম আছে, যথা- মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ এবং আজ্ঞা। প্রতিটি কেন্দ্র একটি পদ্মের ন্যায়, তার দল আছে এবং প্রত্যেক দলে সাংকেতিক অক্ষর এবং অদৃশ্য মূর্তির পরিকল্পনা রয়েছে, প্রতি কেন্দ্রের অবস্থান বিভিন্ন স্থলে; মেরুদণ্ডের ওপর দিয়ে দুইটি নাড়ীকে অবলম্বন করে কেন্দ্রগুলোর পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে। ইড়া আর পিঙ্গলা নাম্নী দুইটি নাড়ী পরস্পরের সহিত জড়িত হয়েছে সুষুম্না-নাড়ীকে কেন্দ্র করে, মেরুদণ্ডের প্রান্তভাগ থেকে উত্থিত হয়ে মস্তিষ্কে গিয়ে সীমাবদ্ধ হয়েছে এবং সম্মিলিত হয়েছে। মেরুদণ্ড তান্ত্রিক সাধনার বড় স্থান অধিকার করে রয়েছে। ছয়টি কেন্দ্র এই মেরুদণ্ডের ওপর অবস্থিত।' সদ্গুরুর সাহায্য নিলেই একজন সাধক ষট্চক্রের এই সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন। বাংলার বাউল সাধকগণ সংগীতচর্চার পাশাপাশি এই সাধনাতেও সিদ্ধি লাভকারী।
লেখক : সহকারী পরিচালক, বাংলা একাডেমি ও
ভিজিটিং স্কলার, শিকাগো ইউনিভার্সিটি
সম্পর্কিত খবর