ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

অনলাইন জুয়া

শেয়ার
অনলাইন জুয়া

আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি যখন প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। বিদেশি কিছু অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার আসর বসায়, যাতে  মানুষকে লোভ দেখিয়ে সবর্স্ব কেড়ে নিচ্ছে বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান। আগে গ্রামে বেশি প্রচলন না থাকলেও এখন গ্রামের চিত্র আলাদা। প্রতিদিন রাস্তাঘাটে ছেলেপেলে থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও দেখা যায় এসব অ্যাপসে টাকা লাগাতে।

লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরের দেশে পাচার হচ্ছে আমাদের চোখের সামনে। বিভিন্ন খেলাকে কেন্দ্র করেও চলে রমরমা অনলাইন জুয়া। গ্রামের সহজ সরল মানুষ বা যুবকরা এতে বেশি আসক্ত। কিছু যুবক সারা দিন হাড়ভাঙ্গা কাজ করে টাকা কামিয়ে সন্ধ্যাবেলা চায়ের দোকানে বসে শুধু জুয়া খেলার জন্য।
অনেকে জুয়ায় নিজের সর্বস্ব হারিয়ে ঋণের চাপে আজ পলাতক। আমার এক বন্ধু আজ পথে বসেছে শুধু এই ফাঁদে পা দিয়ে।

গ্রামের মানুষ বুঝতেই পারে না এমন করে তারা কত বড় ক্ষতি করছে নিজের, সমাজের এমনকি দেশের। দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে আমাদের চোখের সামনে।

বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলা, যেমনক্রিকেট বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি, ফুটবল বিশ্বকাপ, কোপা কাপ, ইউরো কাপ ইত্যাদি খেলায় অনলাইনে বেট লাগিয়ে জুয়া চলছে আমাদের চোখের সামনে। সিআইডির তথ্য এই সংখ্যাটি ২০ লাখ হবে, যারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এর ভয়াবহতা এতটা হওয়া সত্ত্বেও বড় বড় লেখাগুলোতে বিজ্ঞাপন ছাড়া হয় এবং লোভ দেখানো হয়। দেশে তাদের ডিলার বা প্রতিনিধি রয়েছে। তারাই মূলত মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের কাছ থেকে জমা হওয়া জুয়ার টাকা সংগ্রহ করে।
গ্রামের তরুণসমাজ আজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অনেকে আছে মোবাইলও চালাতে পারে না, কিন্তু জুয়ার নেশায় পড়ে টাকা নষ্ট করছে, সর্বস্ব হারাচ্ছে, হতাশ হচ্ছে। এক পর্যায়ে সমাজে চাঁদাবাজি, চুরি বেড়ে যাচ্ছে। তাই অনলাইন জুয়া বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। তরুণসমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে হলে এর থেকে মুক্তি পেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে এ ধরনের অ্যাপস বন্ধ করে দিতে হবে। তরুণদের এর ভয়াবহতা সম্কর্কে সতর্ক করতে হবে এবং জুয়াড়িদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আসুন, দেশ ও জাতি রক্ষায় একযোগে কাজ করি।

মোহাম্মাদ আশিক

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

শেয়ার
জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে  প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।

ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ অবকাঠামো নেই বললেই চলে। ইটের সোলিং করা রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত হয়ে গেছে, যেখানে সহজেই পানি জমে থাকে। সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে রয়েছে। আশপাশের এলাকার পানি নামলেও ক্যাম্পাসে সঠিক নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় এখানকার পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে।
জলাবদ্ধতার তীব্রতায় কেউ কেউ বাধ্য হন জুতা হাতে, প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে।

ফখরুল ইসলাম ফাহাদ

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেয়ার
সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দুই গ্রাম খরনদ্বীপ ও চরনদ্বীপ। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব করে আসছিল প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন কেরানি বাজার সেতু। পুরনো এ সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের জন্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রায় চার কোটি ৫৬ লাখ টাকার ব্যয় নির্ধারণ করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত চার বছর আগে। অথচ চার বছরে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঈদের আগে ঠিকাদার লাপাত্তা। নির্মাণাধীন সেতুটি নির্মাণের সময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর বিকল্প হিসেবে খালের ওপর কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটিও গত ১ জুলাই থেকে দেবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সেতুটি খরনদ্বীপ শ্রীপুর থেকে শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে এখানে বড় দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়াছে এলাকাবাসী।

সাবের আহমদ রিজভী

চরনদ্বীপ, বোয়ালখালী

মন্তব্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

শেয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।

এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে, যেখান দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। ক্যাম্পাসজুড়ে যথেষ্ট আলোস্বল্পতা রয়েছে। ফলে রাতের বেলা শিক্ষার্থীদের চলাচল অত্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাসে নেই কোনো সাপ উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া ক্যাম্পাস থেকে শহরের হাসপাতাল অনেকটা দূরে হওয়ায় সাপের কামড়ের চিকিৎসাব্যবস্থাও এখানে অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

 

মো. জাহিদ হাসান

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

শেয়ার
ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ইন্দের হাট ও মিয়ার হাট। কিন্তু এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে রয়েছে একাধিক আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংকীর্ণ সেতু পেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে রোগী নেওয়া প্রায় অসম্ভব।

অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জ্যামের কবলে পড়ে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারে না। এতে শিক্ষা ও চিকিৎসা দুই খাতেই ব্যাঘাত ঘটছে।

সেতুটির প্রস্থ এতই সীমিত যে একটি ব্যাটারিচালিত অটো উঠলেই সেতুর দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে প্রতিটি ক্ষেত্রে।

শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে হাটুরে, রোগী কিংবা ব্যবসায়ীসবাই এই দুরবস্থার শিকার।

শুধু বাজারকেন্দ্রিক নয়, এর এক পাশে বিসিক শিল্প নগরী, অন্য পাশে ফেরিঘাট। সেতু এতই সরু যে বড় কোনো পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারে না। এই দীর্ঘমেয়াদি জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে সেতুটির দ্রুত সংস্কার বা নতুন একটি প্রশস্ত ও আধুনিক সেতু নির্মাণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি, এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যেন দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সাব্বির হোসেন মিরাজ

শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ