লাল মাটির ক্যাম্পাস আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত। শালবন বিহার, শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতী জাদুঘর, লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থান এই কোটবাড়ী এলাকায়। এসব নিদর্শন দেখতে পর্যটকরা আসে দূর-দূরান্ত থেকে। তাই এসব পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রিসোর্ট, বিনোদনকেন্দ্র, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
শব্দদূষণ

আল মাসুম হোসেন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।
সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লার চান্দিনা বাজার রাস্তার দ্রুত মেরামত চাই

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা মহাসড়কের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী চান্দিনা একটি জনপ্রিয় বড় বাজার। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে চান্দিনা বাজারের পশ্চিম মেইন রোড হয়ে বাজারের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে এই রাস্তা থেকে শাখা হয়ে দক্ষিণের কয়েকটি উপজেলায় গিয়েছে। হাইওয়ে থেকে নেমে কয়েকটি উপজেলার মানুষকে এই বাজারের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ চান্দিনা বাজার রাস্তার করুণ দশা! রাস্তার বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।
মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
চান্দিনা উপজেলা, কুমিল্লা

হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। কিন্তু দুঃখ ও হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। একজন সাধারণ রোগীর চোখে এটি একটি সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান হলেও বাস্তবতার চিত্র অনেক ভিন্ন।
হাসপাতালের ভেতরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়।
এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র এক দিন, দুই দিনের নয়। টিভি চ্যানেলগুলোতেও বহুবার এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে মনে হয়, হাসপাতালটি যেন কোনো অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে দায়িত্ব ও জবাবদিহি বলে কিছু নেই।
সাব্বির হোসেন মিরাজ
শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

শিক্ষাঙ্গনে মাদকের বিস্তার রোধ করুন

বর্তমানে বাংলাদেশে মাদক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের ভয়াবহ প্রসার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই ছাত্রাবস্থায়ই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে।
দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদকসেবীদের জন্য নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ জায়গায় স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠে এমন চক্র। যেখানে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, স্থানীয়রাও জড়িয়ে পড়ছে। মাদকসেবীদের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
তানভীর রহমান
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবিধ অব্যবস্থাপনা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পরও নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে জর্জরিত। জবির প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আবাসন সংকট। পর্যাপ্ত হল না থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অধিক ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এর ১১টি হলের বেশির ভাগই এখনো বেদখল।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া একটি বড় সমস্যা। ক্যান্টিনের খাবারের মান এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা; যেমন—ল্যাব, লাইব্রেরি সুবিধাও অপ্রতুল। ছোট ক্যাম্পাসের ভেতরে যত্রতত্র ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলের স্থানও সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। মেডিক্যাল সেন্টার কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বারবার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য অবকাঠামো, দক্ষ জনবল এবং বাজেটের জন্য আবেদন করেও সেগুলো পাচ্ছে না। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় যখন অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সুবিধা চালু করেছে, তখন জবি এখনো নোটিশ বোর্ড কিংবা বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে পুরনো পদ্ধতিতেই ফলাফল প্রকাশ করে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার কারণ হয় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বড় সীমাবদ্ধতা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দ্রুত এসব সংকট নিরসনে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোসা. মিশকাতুল ইসলাম মুমু
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়