ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭

শব্দদূষণ

শেয়ার
শব্দদূষণ

লাল মাটির ক্যাম্পাস আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত। শালবন বিহার, শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতী জাদুঘর, লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থান এই কোটবাড়ী এলাকায়। এসব নিদর্শন দেখতে পর্যটকরা আসে দূর-দূরান্ত থেকে। তাই এসব পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রিসোর্ট, বিনোদনকেন্দ্র, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

রিসোর্টগুলোতে সব সময় উচ্চৈঃস্বরে বাজানো হয় গান, যার শব্দ রিসোর্টের সীমানা পেরিয়ে চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা, পড়াশোনা ইত্যাদি একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা শব্দদূষণে অতিষ্ঠ। অভিযোগ করলেও মিলছে না কোনো সমাধান।
এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আল মাসুম হোসেন

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লার চান্দিনা বাজার রাস্তার দ্রুত মেরামত চাই

শেয়ার
কুমিল্লার চান্দিনা বাজার রাস্তার দ্রুত মেরামত চাই

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা মহাসড়কের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী চান্দিনা একটি জনপ্রিয় বড় বাজার। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে চান্দিনা বাজারের পশ্চিম মেইন রোড হয়ে বাজারের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে এই রাস্তা থেকে শাখা হয়ে দক্ষিণের কয়েকটি উপজেলায় গিয়েছে। হাইওয়ে থেকে নেমে কয়েকটি উপজেলার মানুষকে এই বাজারের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ চান্দিনা বাজার রাস্তার করুণ দশা! রাস্তার বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।

একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত পানিতে ভরে থাকে। কাদাপানিতে হাঁটার কারণে বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের জামাকাপড় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারের রাস্তাটিতে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে।
সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তাটি। এলাকাবাসী ও সড়ক ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ দূর করতে চান্দিনা বাজার রাস্তাটি চওড়াকরণসহ দ্রুত মেরামত এবং পয়োনিষ্কাশন (ড্রেনেজ) ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন

চান্দিনা উপজেলা, কুমিল্লা

মন্তব্য

হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

শেয়ার
হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। কিন্তু দুঃখ ও হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। একজন সাধারণ রোগীর চোখে এটি একটি সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান হলেও বাস্তবতার চিত্র অনেক ভিন্ন।

হাসপাতালের ভেতরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়, হাসপাতালের বেড খালি থাকার পরও রোগীকে সেখানে উঠতে দেওয়া হয় না। বেডের কথা বললেই কিছু অসাধু স্টাফ টাকা দাবি করে বসেন। তাঁরা এমনভাবে কথা বলের বা পরিস্থিতি তৈরি করেন যে টাকা না দিলে বেড পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এখানেই শেষ নয়।

যখন একজন রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার সময় হয়, তখনো নানা অজুহাতে অর্থ দাবি করা হয়। কোনো ধরনের সাহায্য বা সহায়তা নিতে গেলেই রোগীর স্বজনদের টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। হাসপাতালের একেকটি বিভাগ যেন স্টাফদের একেকটি ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পুরো হাসপাতালে অসাধু স্টাফদের দাপট ও কর্তৃত্ব, যার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পর্যন্ত অনেকের নেই।

এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র এক দিন, দুই দিনের নয়। টিভি চ্যানেলগুলোতেও বহুবার এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে মনে হয়, হাসপাতালটি যেন কোনো অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে দায়িত্ব ও জবাবদিহি বলে কিছু নেই।

সাব্বির হোসেন মিরাজ

শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

মন্তব্য

শিক্ষাঙ্গনে মাদকের বিস্তার রোধ করুন

শেয়ার
শিক্ষাঙ্গনে মাদকের বিস্তার রোধ করুন

বর্তমানে বাংলাদেশে মাদক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের ভয়াবহ প্রসার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই ছাত্রাবস্থায়ই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে।

এ ছাড়া মাদকের টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সামাজিকভাবেও একঘরে হয়ে যায় মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এতে সে আরো বিপথে চলে যায়।

দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদকসেবীদের জন্য নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ জায়গায় স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠে এমন চক্র। যেখানে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, স্থানীয়রাও জড়িয়ে পড়ছে। মাদকসেবীদের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এই সমস্যা মোকাবেলায় শুধু আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়। পরিবারের নজরদারি প্রয়োজন। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সঙ্গে মিশে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনমূলক ক্লাস, মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।
মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন, দেয়ালিকা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় কোনো অপরাধীই যেন ছাড় না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হারিয়ে যাবে অতল গহ্বরে। তাই এখনই আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে।

তানভীর রহমান

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবিধ অব্যবস্থাপনা

শেয়ার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবিধ অব্যবস্থাপনা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পরও নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে জর্জরিত। জবির প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আবাসন সংকট। পর্যাপ্ত হল না থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অধিক ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এর ১১টি হলের বেশির ভাগই এখনো বেদখল।

দুটি হল আবাসযোগ্য হলেও সেগুলো দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। ২০২২ সালে উদ্বোধন হওয়া একমাত্র ছাত্রী হলটিও নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার শিকার। ছাত্রীর তুলনায় সিটসংখ্যা সীমিত হওয়ায় ছাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি এর মূল্যও অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের তুলনায় অনেক বেশি।
এ ছাড়া সুপেয় পানির অভাব, ওয়াশরুমের বেসিন, শাওয়ার ও কল নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা এবং প্রায় এক মাস ধরে রান্নাঘরের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ছাত্রীরা আরো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া একটি বড় সমস্যা। ক্যান্টিনের খাবারের মান এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা; যেমনল্যাব, লাইব্রেরি সুবিধাও অপ্রতুল। ছোট ক্যাম্পাসের ভেতরে যত্রতত্র ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলের স্থানও সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। মেডিক্যাল সেন্টার কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বারবার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য অবকাঠামো, দক্ষ জনবল এবং বাজেটের জন্য আবেদন করেও সেগুলো পাচ্ছে না। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় যখন অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সুবিধা চালু করেছে, তখন জবি এখনো নোটিশ বোর্ড কিংবা বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে পুরনো পদ্ধতিতেই ফলাফল প্রকাশ করে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার কারণ হয় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বড় সীমাবদ্ধতা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দ্রুত এসব সংকট নিরসনে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোসা. মিশকাতুল ইসলাম মুমু

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ