করোনার প্রকোপ বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জনগণের উদাসীনতা। রাস্তাঘাট, বাস-ট্রেন—সর্বত্রই এই অবস্থা, হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করেন। সংবাদপত্রে, টিভিতে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে সমূহ বিপদ।
কঠোর হোক প্রশাসন
অন্যান্য

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, সংক্রমণের মিনি চতুর্থ ঢেউ চলছে এখন। তবে সতর্কতায় কমতি থাকলে তা পুরোপুরি ঢেউয়ের আকার নেবে।
করোনা সতর্কতায় আরো প্রচার দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর হলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই রুখে দেওয়া সম্ভব।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সম্পর্কিত খবর

মাদকাসক্তি : জাতির জন্য এক ভয়ংকর বিপদ

মাদকাসক্তির সূচনাপথ হিসেবে ধরা হয় ধূমপানকে। অসৎ বন্ধুদের প্ররোচনায় কিংবা কৌতূহলবশত অনেকে ধূমপানে জড়িয়ে পড়ে, যা ধীরে ধীরে আরো ভয়াবহ মাদকের দিকে ধাবিত করে। আজকাল অনেক নাটক-সিনেমা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধূমপানকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করায় তরুণদের মাঝে এর প্রভাব আরো বাড়ছে।
মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ার আরো কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা, অসৎ বন্ধুর প্রভাব, বেকারত্ব, পারিবারিক ও সামাজিক অশান্তি ইত্যাদি।
মাদকাসক্তি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মো. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর

নান্দাইলে রাস্তার করুণ অবস্থা

বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়ন নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাকচান্দা থেকে নান্দাইল উপজেলায় যেতে একটিমাত্র সড়ক দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষকে চলাচল করতে হয়। বাকচান্দা, মহাবৈ, উদং মধুপুর, আচারগাঁও, জামতলাসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের একমাত্র পথ এটি। এমনকি এই রাস্তা দিয়েই নান্দাইল-ঢাকাগামী জলসিঁড়ি বাস চলাচল করে।
উপরোক্ত সার্বিক দিক বিবেচনায় স্থানীয় মানুষের পক্ষ হয়ে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি এবং শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
হাসিবুল হাসান ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ, কিশোরগঞ্জ

লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

লোকাল বাস ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। ঢাকায় যাতায়াতকারী বেশির ভাগ মানুষই চলাচলে লোকাল বাস ব্যবহার করে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যাতায়াত করার জন্য লোকাল বাস আমাদের জন্য একটি আস্থার জায়গা। সেই আস্থার জায়গা দিন দিন চরম অনাস্থা ও অস্বস্তিতে রূপ লাভ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে গেলেই হেলপার/সুপারভাইজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা পূর্ণ ভাড়া দাবি করে আসছে দিনের পর দিন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার তথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসব অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।
তাহের নয়ন
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ

ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী এখন সরু খালের মতো। এর পরও নদীটির ভাঙনে মানুষ ভিটামাটি হারাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীটির ভাঙনের শিকার হয়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।
এই নৈরাজ্য কি দেখার কেউ নেই? ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে? আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
হাজি মো. রাসেল ভূইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ