ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

বাংলা শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ

শেয়ার
বাংলা শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ

আমরা অনেকেই অবগত আছি, প্রত্যেক ভাষার শব্দের নিজস্ব উচ্চারণরীতি রয়েছে। বাংলা ভাষা এর ব্যতিক্রম নয়। উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষিত না হলে ভাষার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। তাই শুদ্ধ উচ্চারণ একদিকে যেমন ঠিকভাবে মনোভাব প্রকাশে সহায়ক, তেমনি শব্দের অর্থবিভ্রান্তি ও বিকৃতি ঘটার আশঙ্কা থেকেও মুক্ত রাখে।

তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বাংলা শব্দের উচ্চারণের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণে ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ যে খুবই কম, তা সহজেই অনুমেয়। অশুদ্ধ উচ্চারণের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে।
যেমন উচ্চারণের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দুর্বলতা, প্রচারমাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অশুদ্ধ উচ্চারণ, আঞ্চলিক উচ্চারণপ্রবণতা ও ক্ষেত্রবিশেষে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ভুল উচ্চারণ ইত্যাদি। এ জন্য শ্রোতা ও অনুসারীরা ভুল উচ্চারণ শিখছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি বেশি প্রযোজ্য। শিশুরা স্বভাবতই অনুকরণপ্রিয়।
তারা যেভাবে শেখে এবং শোনে সেভাবেই উচ্চারণ করে থাকে। অভিভাবক, শিক্ষক (বিশেষত, ভাষাশিক্ষক) ও বয়োজ্যেষ্ঠদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেও যত দূর সম্ভব বাংলা শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণে অভ্যস্ত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো দায়িত্বশীল ও নিবেদিত হতে হবে। বাংলা ভাষার উৎকর্ষ বিধানে শুদ্ধ উচ্চারণরীতি মেনে চলা এবং শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার আন্তরিক চেষ্টা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হবে।
মহান ভাষা আন্দোলনের এই মাস আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করুক। নবরূপে ফিরে আসুক বাংলা ভাষার প্রাণ।

মোহাম্মদ শরীফ, শিক্ষক (বাংলা),

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

শেয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।

এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে, যেখান দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। পুরো ক্যাম্পাসে আলোস্বল্পতা রয়েছে। ফলে রাতের বেলা শিক্ষার্থীদের চলাচল অত্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাসে নেই কোনো সাপ উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া ক্যাম্পাস থেকে শহরের হাসপাতাল অনেকটা দূরে হওয়ায় সাপের কামড়ের চিকিৎসাব্যবস্থাও এখানে অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

মো. জাহিদ হাসান

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

 

মন্তব্য

বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার দেখা নির্বিঘ্ন করুন

শেয়ার
বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার দেখা নির্বিঘ্ন করুন

বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার কেন্দ্র দুটিঢাকা ও চট্টগ্রাম। দেশের এবং চট্টগ্রামের পাশাপাশি বিস্তীর্ণ পার্বত্যাঞ্চলের সংস্কৃতি বেশ ভালোভাবেই দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্র। সম্প্রতি সন্তানদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় স্যাটেলাইট কানেকশন বিচ্ছিন্ন করি। আমরা বিল্ডিংয়ের ছাদে আউটডোর অ্যান্টেনা লাগিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচার দেখে আসছিলাম।

কিন্তু কয়েক দিন যাবৎ বারবার সার্চ দেওয়ার পরও স্পষ্টভাবে শুধুই বিটিভির ঢাকা কেন্দ্র আসছে; চট্টগ্রাম কেন্দ্র মোটেই আসছে না। এ থেকে ধারণা করা যায়, আমার মতো আরো অনেকেই চট্টগ্রাম কেন্দ্রের টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচার দেখতে পারছেন না। দেশের অনেক অঞ্চল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের ওপর নির্ভরশীল। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের দিকেও তাঁরা দৃষ্টি রাখতে চান।
তাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রের টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার নির্বিঘ্ন করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

রুমী সিদ্দিকী

গোলাবাড়িয়া, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

মন্তব্য

কুমিল্লার চান্দিনা বাজার রাস্তার দ্রুত মেরামত চাই

শেয়ার
কুমিল্লার চান্দিনা বাজার রাস্তার দ্রুত মেরামত চাই

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা মহাসড়কের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী চান্দিনা একটি জনপ্রিয় বড় বাজার। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে চান্দিনা বাজারের পশ্চিম মেইন রোড হয়ে বাজারের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে এই রাস্তা থেকে শাখা হয়ে দক্ষিণের কয়েকটি উপজেলায় গিয়েছে। হাইওয়ে থেকে নেমে কয়েকটি উপজেলার মানুষকে এই বাজারের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ চান্দিনা বাজার রাস্তার করুণ দশা! রাস্তার বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।

একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত পানিতে ভরে থাকে। কাদাপানিতে হাঁটার কারণে বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের জামাকাপড় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারের রাস্তাটিতে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে।
সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তাটি। এলাকাবাসী ও সড়ক ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ দূর করতে চান্দিনা বাজার রাস্তাটি চওড়াকরণসহ দ্রুত মেরামত এবং পয়োনিষ্কাশন (ড্রেনেজ) ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন

চান্দিনা উপজেলা, কুমিল্লা

মন্তব্য

হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

শেয়ার
হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। কিন্তু দুঃখ ও হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। একজন সাধারণ রোগীর চোখে এটি একটি সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান হলেও বাস্তবতার চিত্র অনেক ভিন্ন।

হাসপাতালের ভেতরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়, হাসপাতালের বেড খালি থাকার পরও রোগীকে সেখানে উঠতে দেওয়া হয় না। বেডের কথা বললেই কিছু অসাধু স্টাফ টাকা দাবি করে বসেন। তাঁরা এমনভাবে কথা বলের বা পরিস্থিতি তৈরি করেন যে টাকা না দিলে বেড পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এখানেই শেষ নয়।

যখন একজন রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার সময় হয়, তখনো নানা অজুহাতে অর্থ দাবি করা হয়। কোনো ধরনের সাহায্য বা সহায়তা নিতে গেলেই রোগীর স্বজনদের টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। হাসপাতালের একেকটি বিভাগ যেন স্টাফদের একেকটি ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পুরো হাসপাতালে অসাধু স্টাফদের দাপট ও কর্তৃত্ব, যার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পর্যন্ত অনেকের নেই।

এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র এক দিন, দুই দিনের নয়। টিভি চ্যানেলগুলোতেও বহুবার এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে মনে হয়, হাসপাতালটি যেন কোনো অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে দায়িত্ব ও জবাবদিহি বলে কিছু নেই।

সাব্বির হোসেন মিরাজ

শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ