লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গত বুধবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। অভিযোগ উঠেছে, দুষ্কৃতকারীরা বিএনপির ছত্রছায়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে বিএনপি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাটগ্রামে দণ্ডিত দুজনকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা-ভাঙচুর
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

পুলিশ বলছে, পাথরকোয়ারির শর্ত ভঙ্গ করে মহাসড়কে পাথরবাহী ট্রাক থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে থানায় নিয়ে গেলে একদল ‘দুষ্কৃতকারী’ হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে হামলার ঘটনায় বিএনপি বা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে দাবি উঠলেও দলটির নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই ঘটনায় সরাসরি বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
কী হয়েছিল সেই রাতে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে পাটগ্রামের সরেওরবাজার এলাকায় পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা তোলার সময় সোহেল রানা ও বেলাল হোসেন নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে উভয়কে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে থানায় পাঠানো হয়।
পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘পাথরকোয়ারির ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে সড়কে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাঁদের থানায় পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় পৌঁছানোর পরপরই সেখানে উপস্থিত কয়েক শ মানুষ থানার বিভিন্ন কক্ষ এবং পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আহত হন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, কনস্টেবল মশিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন।
এসআই সাখাওয়াত হোসেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের থানায় আনতে গিয়ে হামলার শিকার হই। আমাদের মারধর করে ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা থানার কক্ষগুলোর জানালার কাচ, আসবাব, ল্যাপটপ ও গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
ইজারাদারের পাল্টা অভিযোগ
পাথরকোয়ারির ইজারাদার মাহমুদ হোসেন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘ঘুষ না পেয়ে পুলিশ ও ইউএনও আমাদের কর্মীদের সাজা দিয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি ও অন্য ইজারাদার চপল থানায় গিয়ে মারধরের শিকার হই।’
চপল বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএনপির দাবি, পুলিশের মারধরে তাঁর শরীরের হাড় ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েক শ লোক হঠাৎ থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়।’
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় হাতীবান্ধা ও বড়খাতা হাইওয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। পরে পাটগ্রামে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
গতকাল দুপুরে পাটগ্রাম থানা পরিদর্শনে যান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এইচ এম রকিব হায়দার ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তরিকুল ইসলাম। তাঁরা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিআইজি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধী যে দলেরই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির নেতা ওয়ালিউর রহমান সোহেল বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। পুলিশ পাথর ব্যবসায়ীদের মারধর করায় তাঁদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে থাকতে পারে।’
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ইউএনও চাঁদাবাজদের মধ্য থেকে দুজনকে সাজা দিলে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত নিজের দলের নেতাকর্মীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।’
সম্পর্কিত খবর

তৃতীয় জয়

শান্তি মার্দির (জার্সি নং-২০) হ্যাটট্রিকে গতকাল অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে স্বাগতিকদের এটি টানা তৃতীয় জয়। ছবি : বাফুফে
।
বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন আয়কর ও পাঁচজন কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা। এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আয়কর কর্মকর্তারা হলেন মির্জা আশিক রানা, অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮, ঢাকা; মাসুমা খাতুন, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-২; মুরাদ আহমেদ, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫; মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার, কুষ্টিয়া; মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, যুগ্ম কর কমিশনার, নোয়াখালী; আশরাফুল আলম প্রধান, যুগ্ম কর কমিশনার, কক্সবাজার; শিহাবুল ইসলাম, উপকর কমিশনার, খুলনা; নুশরাত জাহান, উপকর কমিশনার, রংপুর এবং ইমাম তৌহিদ হাসান, উপকর কমিশনার, কুমিল্লা।
কাস্টমস বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর; সিফাত-ই-মরিয়ম, অতিরিক্ত কমিশনার; মো. শাহাদাত জামিল, দ্বিতীয় সচিব, এনবিআর; শফিউল বশর, রাজস্ব কর্মকর্তা এবং সবুজ মিয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা।
গত জুন মাসে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব খাতে ‘যৌক্তিক সংস্কারের’ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ২৮ ও ২৯ জুন তাঁরা সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। আন্দোলনের পর শুরু হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে তিনজন এনবিআর সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এনবিআরের আরো দুই সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

ছাত্রদলের আলোচনাসভায় বক্তারা
গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে খাটো করার অপচেষ্টা চলছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ছাত্রদল, ডান-বাম ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচনাসভার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আন্দোলনের মূলে ছিল ছাত্রসমাজের চেতনা।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো উল্লেখ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আন্দোলনকারীদের রক্তদানকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরাতে চাইছে এবং বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে, তারা ফ্যাসিবাদের আগমনকে স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, কেননা মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনার জেরে একটি গুপ্ত সংগঠন রাজনৈতিক ইন্ধন দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বুয়েট ও চুয়েটে আমাদের সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে নোংরা স্লোগান দিয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে শহীদ পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। অথচ আমরা বিচার নিশ্চিত না করে বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেত্রী মুক্তা বাড়ই বলেন, “আজ রাজাকারদের পুনর্বাসন ও নরমালাইজেশন শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে গোটা দেশে ‘মবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রদলের সহযোদ্ধারা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। ১৫ জুলাই একাত্তর হলে প্রথম হামলায়ও ছাত্রদলের ভাইয়েরা আহত হয়েছিলেন। এখানে এককভাবে কোনো সংগঠনের কৃতিত্ব দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব শহীদদের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। আমাদের গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’
আলোচনাসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুভাশিষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাইদুল হক নিশান, ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার—সবাই ছাত্ররাজনীতির মধ্যে বিভাজন অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করার আহবান জানান।

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৬ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৩১ জনকে আটকে দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। মূলত ‘শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায়’ কারণ দেখিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়।
দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, ওই ১৩১ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির অভিযানে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
দ্য স্টারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩০০ জনের বেশি যাত্রীর কাগজপত্র যাচাই করে ১৩১ জনকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ ও পাঁচজন ইন্দোনেশীয় নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণে ঘাটতি পাওয়া গেছে।’
শর্ত পূরণ না হওয়া বলতে ‘সন্দেহজনক’ হোটেল বুকিং, ইমিগ্রেশন কাউন্টারে হাজির না হওয়া এবং পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে না রাখার মতো কারণ দেখানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সাধারণত ভ্রমণকারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে। কেউ যদি বলে যে সে এক মাস থাকবে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত আনে, তাহলে তার বক্তব্যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক।’
মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূরণ করেই যেন আগ্রহীরা ভ্রমণের প্রস্তুতি নেয়, বিবৃতিতে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি বলছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, নিশ্চয়ই তাঁদের ট্যুরিস্ট হিসেবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে ব্যর্থ মনে করেছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।