চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড ঘোষণা করেছে সরকার। এই হাসপাতালে স্থানীয় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা শুরু হলেও বেশির ভাগ সরঞ্জাম বিকল। পর্যাপ্ত শয্যা থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য লোকবলের সংকট রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যথাযথ চিকিৎসা।
করোনা চিকিৎসায় পদে পদে সংকট
নূপুর দেব, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গত ২১ দিনে ৯০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে এক কিশোরসহ মারা গেছে ছয়জন। তিনজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে, দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছে।
জানা গেছে, এসব রোগী কেউ কেউ কিডনি, ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে ১০ জন ভর্তি হয়। এর মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে।
সূত্র জানায়, করোনার জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানে বিপুলসংখ্যক অচল চিকিৎসা যন্ত্র ও সরঞ্জাম দ্রুত মেরামত এবং চিকিৎসক, নার্স এবং দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নার্সিং অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকসহ (স্বাস্থ্য) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৮ শয্যার আইসিইউ থাকলেও বেশির ভাগ যন্ত্র বিকল।
জানা যায়, আইসিইউতে ২৩টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে সচল আছে চারটি, এ ছাড়া হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ৩৯টির মধ্যে সচল ১০টি, সিরিঞ্জ পাম্প ২৫টির মধ্যে ১০টি সচল, বাইপেপ মেশিন ৩৩টির মধ্যে তিনটি সচল, পেশেন্ট মনিটর ১৮টির মধ্যে ১১টি সচল রয়েছে। এ ছাড়া দুটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দুটিই বিকল, ইসিজি মেশিন দুটি বিকল, দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে এমআরআই মেশিন। এর বাইরে পাঁচটি নেবুলাইজার, চারটি স্যাকশন মেশিনসহ আরো ছয়টি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। অর্থাৎ ১৫৮টি চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে ১২০টিই অচল।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. একরাম হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য লোকবলের সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়ার পর আমরা চারজন মেডিক্যাল অফিসার পেয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডায়ালিসিসের সুযোগ এখানে নেই। করোনার পাশাপাশি দুরারোগ্য বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী থাকলে তারা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পায়, সে ব্যাপারে আমরা চমেক হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, বিভাগীয় পরিচালকসহ (স্বাস্থ্য) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে থাকি। অনেক চিকিৎসা যন্ত্র সচল নেই। এর মধ্যে কিছু মেরামত করা হয়েছে। অন্যগুলোর মেরামত প্রক্রিয়াধীন। তবে করোনার রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’
হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কভিডের জন্য পাঁচটি শয্যা চালু করেছি। রোগী বাড়লে শয্যা আরো বাড়ানো হবে। এখন নন-কভিডের জন্য আইসিইউতে ১০ শয্যা আছে। আইসিইউর জন্য অনেক যন্ত্রপাতি মেরামত করতে হবে। রোগী বাড়লে এসব ইকুইপমেন্টের প্রয়োজন হবে।’
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক (মেট্রন) রাশনা দাশ বলেন, ‘আমাদের ১৫৫টি পদের মধ্যে ৪৩ জন হাসপাতালে কর্মরত নেই। এতে তিন শিফটে রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন আবার করোনার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে এখন ৪৫ জন নার্সিং কর্মকর্তা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমরা চিঠি লিখেছি।’
সম্পর্কিত খবর

তৃতীয় জয়

শান্তি মার্দির (জার্সি নং-২০) হ্যাটট্রিকে গতকাল অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে স্বাগতিকদের এটি টানা তৃতীয় জয়। ছবি : বাফুফে
।
বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন আয়কর ও পাঁচজন কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা। এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আয়কর কর্মকর্তারা হলেন মির্জা আশিক রানা, অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮, ঢাকা; মাসুমা খাতুন, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-২; মুরাদ আহমেদ, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫; মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার, কুষ্টিয়া; মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, যুগ্ম কর কমিশনার, নোয়াখালী; আশরাফুল আলম প্রধান, যুগ্ম কর কমিশনার, কক্সবাজার; শিহাবুল ইসলাম, উপকর কমিশনার, খুলনা; নুশরাত জাহান, উপকর কমিশনার, রংপুর এবং ইমাম তৌহিদ হাসান, উপকর কমিশনার, কুমিল্লা।
কাস্টমস বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর; সিফাত-ই-মরিয়ম, অতিরিক্ত কমিশনার; মো. শাহাদাত জামিল, দ্বিতীয় সচিব, এনবিআর; শফিউল বশর, রাজস্ব কর্মকর্তা এবং সবুজ মিয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা।
গত জুন মাসে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব খাতে ‘যৌক্তিক সংস্কারের’ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ২৮ ও ২৯ জুন তাঁরা সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। আন্দোলনের পর শুরু হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে তিনজন এনবিআর সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এনবিআরের আরো দুই সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

ছাত্রদলের আলোচনাসভায় বক্তারা
গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে খাটো করার অপচেষ্টা চলছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ছাত্রদল, ডান-বাম ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচনাসভার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আন্দোলনের মূলে ছিল ছাত্রসমাজের চেতনা।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো উল্লেখ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আন্দোলনকারীদের রক্তদানকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরাতে চাইছে এবং বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে, তারা ফ্যাসিবাদের আগমনকে স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, কেননা মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনার জেরে একটি গুপ্ত সংগঠন রাজনৈতিক ইন্ধন দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বুয়েট ও চুয়েটে আমাদের সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে নোংরা স্লোগান দিয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে শহীদ পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। অথচ আমরা বিচার নিশ্চিত না করে বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেত্রী মুক্তা বাড়ই বলেন, “আজ রাজাকারদের পুনর্বাসন ও নরমালাইজেশন শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে গোটা দেশে ‘মবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রদলের সহযোদ্ধারা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। ১৫ জুলাই একাত্তর হলে প্রথম হামলায়ও ছাত্রদলের ভাইয়েরা আহত হয়েছিলেন। এখানে এককভাবে কোনো সংগঠনের কৃতিত্ব দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব শহীদদের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। আমাদের গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’
আলোচনাসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুভাশিষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাইদুল হক নিশান, ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার—সবাই ছাত্ররাজনীতির মধ্যে বিভাজন অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করার আহবান জানান।

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৬ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৩১ জনকে আটকে দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। মূলত ‘শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায়’ কারণ দেখিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়।
দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, ওই ১৩১ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির অভিযানে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
দ্য স্টারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩০০ জনের বেশি যাত্রীর কাগজপত্র যাচাই করে ১৩১ জনকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ ও পাঁচজন ইন্দোনেশীয় নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণে ঘাটতি পাওয়া গেছে।’
শর্ত পূরণ না হওয়া বলতে ‘সন্দেহজনক’ হোটেল বুকিং, ইমিগ্রেশন কাউন্টারে হাজির না হওয়া এবং পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে না রাখার মতো কারণ দেখানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সাধারণত ভ্রমণকারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে। কেউ যদি বলে যে সে এক মাস থাকবে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত আনে, তাহলে তার বক্তব্যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক।’
মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূরণ করেই যেন আগ্রহীরা ভ্রমণের প্রস্তুতি নেয়, বিবৃতিতে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি বলছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, নিশ্চয়ই তাঁদের ট্যুরিস্ট হিসেবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে ব্যর্থ মনে করেছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।