আওয়ামী আমলের সময় যখন একের পর এক এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার কারাগারে যাচ্ছেন, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আবদুর রউফ তালুকদার ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ দেশের ব্যাংকিং খাত ধ্বংসে তাঁদের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে সূত্র বলছে, এ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সরকারের একাধিক সংস্থা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একাধিক দফা তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সাবেক তিন গভর্নরের দুর্নীতি অনুসন্ধান করছে দুদক
মো. জয়নাল আবেদীন

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুধু গভর্নর নন, তাঁদের অধীন কর্মকর্তাদের তথ্যও তদন্তে চাওয়া হচ্ছে। কোন গভর্নরের আমলে কী আইন বা নীতিমালা হয়েছে, তাঁর মাধ্যমে কারা সুবিধা পেয়েছে, কারা অবৈধভাবে ঋণ পেয়েছে, রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কোন কোন কর্মকর্তার সম্পর্ক থাকতে পারে—এসব খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল কি না তাও তদন্তের আওতায় এসেছে।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের তথ্য ইতিমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ‘কোনো সরকারি সংস্থা বা আদালত আমাদের কাছে তথ্য চাইলে, আমরা আইনি কাঠামোর মধ্য থেকেই তা সরবরাহ করি।’
দীর্ঘদিনের অনিয়মে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের ব্যাংকিং খাত চরম সংকটে। ১৫ বছরে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রভাবিত ঋণ বণ্টন, জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাত এক ধরনের ‘ব্ল্যাকহোলে’ পরিণত হয়েছে। বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ, অবৈধ অর্থ পাচার ও ব্যাংক দখলের ঘটনা এর প্রমাণ।
বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে এস আলম গ্রুপ। শুধু ইসলামী ব্যাংকেই তাদের দেড় লাখ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া বেক্সিমকো, সামিট, নাসা, জেমকন, শিকদার গ্রুপসহ আরো কিছু প্রভাবশালী গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তাধীন। সরকার বলছে, এসব অর্থ ফেরত আনতে কাজ চলছে।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, ‘যেসব ব্যাংক দুর্নীতির কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর ওপর গ্রাহকের আস্থা না ফিরলে পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্বল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ বিরল—পদ্মা, বিডিবিএল, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এর প্রমাণ।’
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ব্যাংক খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। যদিও যথাসময়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি; কিন্তু এসব দুর্নীতি তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এখনো জবাবদিহি করা যেতে পারে। তৎকালীন গভর্নরসহ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তাদের সবাইকে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
রিজার্ভ চুরির প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকাটা চলে গেছে সেটা আসলে ডাকাতি হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করে টাকাটা পাচার করা হয়েছে। পাচার হওয়া প্রথমদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে লুকিয়ে রেখেছিল। প্রাথমিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই ওই সুযোগটা আমরা হারিয়েছি। সে কারণে এখন প্রক্রিয়াটা আরো দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে। যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকাটা চুরি হয়, তখনকার গভর্নর ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি।’
তিনজন গভর্নরের ভূমিকাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।
আতিউর রহমান ২০০৯ সালে গভর্নর হন। তাঁর আমলেই ঘটে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি। রাজনৈতিক প্রভাবে ৯টি ব্যাংক অনুমোদন ও বেক্সিমকোকে ঋণ পুনর্গঠন সুবিধা দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
ফজলে কবির গভর্নর হন ২০১৬ সালে। তাঁর আমলেই এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক দখল করে নেয়। রাতের আঁধারে বাসায় বসে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠীভিত্তিক হয়ে পড়ে। এই গভর্নরের মেয়াদ বাড়াতে সরকার আইন পরিবর্তন করে বয়সসীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করে।
আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২ সালে গভর্নর হন। তাঁর সময়েই ব্যাংকগুলোর ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপানো শুরু হয়, যা ফের লুট হয়ে বিদেশে পাচার হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবং তথ্য গোপনীয়তা কঠোর হয়। সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে যান।
বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ সরকারের সহায়তায় অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।’
দেশের ব্যাংকব্যবস্থা যখন একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত, তখন এই ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারিগররাই রয়ে গেছেন আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে—এটাই বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক ট্র্যাজেডি বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স