দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনবাসীর দুঃখ যেন ছাড়ছে না। একের পর এক বিপর্যয় দ্বীপবাসীকে আটকে রেখেছে। পর্যটনশিল্প বছরের দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হলেও তারা উপার্জনের জন্য ছুটেছিল সাগরের মাছ আহরণে। কিন্তু টানা প্রায় দুই মাস মাছ ধরাও ছিল বন্ধ।
দুঃসহ কষ্টে সেন্ট মার্টিনবাসী
- রিসোর্ট-রেস্টুরেন্ট বন্ধ। পর্যটক নেই, উপার্জন বন্ধ অনেকের
- বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরা ব্যাহত
তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার

স্থানীয়রা জানায়, আগে বছরের ছয় মাস পর্যটন ব্যবসা চলত সেখানে। এবার ব্যবসা হয়েছে দুই মাস।
জানা গেছে, পর্যটন ব্যবসায় জড়িতদের দুই মাসের আয় দিয়ে সারা বছর চলতে হচ্ছে। দ্বীপবাসীর বেশির ভাগ আছে অর্থকষ্টে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে দ্বীপের বাইরের যেকোনো লোককে আইডি কার্ড সহকারে সরকারি অনুমতি নিয়ে আসা-যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে দেশের নানা প্রান্তে থাকা দ্বীপবাসীর আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত বন্ধ করেছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, ফি বছর কোরবানির সময় দ্বীপের বাসিন্দারা অন্তত দেড় থেকে দুই শ গরু কোরবানি দিলেও সেই সংখ্যা এবার অর্ধশতে নেমে এসেছিল। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একদিকে পর্যটন ও মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে প্রকৃতির নিষেধাজ্ঞায় আমরা দ্বীপের হতভাগ্য মানুষগুলো হাবুডুবু খাচ্ছি। একের পর এক দুর্যোগ যেন আমাদের পেছনে লেগে আছে। কোরবানির ঈদের পর থেকেই আবহাওয়া খারাপ যাচ্ছে। এ কারণে সাগরেও মাছ ধরতে পারছেন না জেলেরা।’
স্থানীয়রা জানায়, এই দ্বীপে মাছ ধরার বিষয়টি নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়ার ওপরই নির্ভর করে দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফের নৌ যোগাযোগও। গতকাল সোমবার তিনটি পণ্যবাহী কার্গো নৌকা টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে দ্বীপের উদ্দেশে। কিন্তু নাফ নদের মোহনায় নৌকাগুলো গিয়েই প্রচণ্ড বাতাস আর সাগরের উত্থাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে পেছনে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। নৌকাগুলোতে থাকা কাঁচাপণ্য অর্থাৎ সবজি-তরিতরকারি এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। তার ওপর এক-দুই দিন থাকলে এসব খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দ্বীপের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ রকম অনিশ্চিত নৌপরিবহনের কারণে বারবার পুঁজি হারিয়ে পথে বসেন।
জানা গেছে, দ্বীপে পর্যটন ব্যবসাও নেই। অর্ধশতাধিক রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। ২০৯টি রিসোর্ট ও কটেজ বন্ধ। দ্বীপে ৫০টির বেশি রেস্টুরেন্টের দেড় হাজার কর্মচারী বেকার। দ্বীপের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার হাবিবুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি নিজেও পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। আমার ঘরের এক পাশে ছয়টি কক্ষ ভাড়া দিই। মৌসুমি পর্যটন ব্যবসার আয়ে সারা বছর আমাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।’ তিনি জানান, গত বছরের আগের মৌসুমে আমি পর্যটন ব্যবসায় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি আয় করি। কিন্তু সরকারের পরিপত্র জারির পর গেল মৌসুমে মাত্র দেড় লাখ টাকার মতো আয় হয়েছে। এ কারণে এবার আর্থিক সংকট যাচ্ছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দ্বীপের বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন কালের কণ্ঠকে জানান, ‘আমরা দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাদের পর্যটন ব্যবসা প্রসারের জন্য একটি ওয়েবসাইট করতে যাচ্ছি। এ জন্য স্থানীয় বাসাবাড়িতে থাকা রিসোর্টগুলোর নামধাম সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, বলতে গেলে কমিউনিটি পর্যটনকে গুরুত্ব দিতেই এমন উদ্যোগ। যেহেতু দ্বীপবাসী পর্যটন ব্যবসায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, সে জন্য তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দ্বীপের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ এহসান উদ্দীন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্বীপের পর্যটন অর্থনৈতিক অবস্থা একটু খারাপ রয়েছে। তবে অন্যান্য দিকে আগের তুলনায় কিছুটা ভালো রয়েছে বলা যায়। সদ্যঃসমাপ্ত ঈদুল আজহায় লোকজন একটু কষ্টে ছিল। তাদের কোরবানির কথা চিন্তা করে তিনটি গরু দ্বীপবাসীর জন্য পাঠানো হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সম্পর্কিত খবর

বান্দরবানে সারজিস অবাঞ্ছিত ও এনসিপির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য বান্দরবানের প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলার ছাত্রসমাজ। একই সঙ্গে বান্দরবানে এনসিপির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা এসেছে ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে।
গতকাল রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে ছাত্রসমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রনেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার এক সমাবেশে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির জায়গা’ বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম।
ছাত্রনেতারা জানান, ওই মন্তব্যের পর তাঁরা এনসিপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সারজিস আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁরা আশ্বাসও পান, ১৯ জুলাই বান্দরবানের পদযাত্রা কর্মসূচিতে সারজিস আলম ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বিষয়টি নিয়ে মুখও খোলেননি।
বান্দরবান ছাত্রসমাজের নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, ‘সারজিস আলম ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তাঁর উপস্থিতি এবং এনসিপির সব কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পার্বত্যাঞ্চলকে শাস্তির জায়গা বলা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, আমিনুল ইসলাম, খালিদ বিন নজরুল, হাবিব আল মাহমুদ প্রমুখ।
রাঙামাটিতে এনসিপির পদযাত্রায় পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
এদিকে গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহরে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাইয়েদ আহমেদ বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ থাকায় সকালে প্রশ্নপত্র আনতেও সমস্যায় পড়ি। ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ছিল, অনেকে কেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি করে।’
এনসিপির পদযাত্রা দুপুরে শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যদি ভুল করি, সেটা সংশোধন করব। তবে কথার প্রতিবাদে সহিংসতা কিংবা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।’
তবে সমাবেশের কারণে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের ঘটনায় ছাত্রদল ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ছাত্রদলের জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে পরীক্ষার দিন রাস্তায় সমাবেশ করে।’
ফেসবুক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ সারজিসের
সমালোচনার মুখে গতকাল দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি লেখেন, ‘সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে...
আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে; জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
এ বছর তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি সামরিক মহড়া চালাবে এবং নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারি বজায় রাখবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
যৌথ সামরিক মহড়া ও নতুন দক্ষতা সংযোজন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, এগুলো আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরো দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলকে আরো শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তোলে।
টাইগার লাইটনিং মহড়া : টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্যাসিফিক টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।
টাইগার শার্ক ২০২৫ মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, টাইগার শার্ক (ফ্লাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া যেখানে আমাদের দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় প্যাট্রল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সংকট মোকাবেলায় আরো দক্ষ করে তুলবে।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আমাদের সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে। এটি দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
তফসিল ২৯ জুলাই ভোট সেপ্টেম্বরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। এরপর নির্বাচন সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব তথ্য জানান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর, প্রোক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, অনুষদের ডিন, শিক্ষকদের প্রতিনিধি, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী অংশীজনদের আগের পরামর্শের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় জানানো হয়, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ছয়টি নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় আরো জানানো হয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আরো ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

আবারও মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি পাঁচটি দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংশোধন, বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সমিতি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দাবিগুলো না মানা হলে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। গতকাল দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনটি একটি প্রতিশোধপরায়ণ, নিপীড়নমূলক এবং ক্ষতিকর।