ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
ঐতিহ্য সংস্কার

প্রাচীন সব দালানকোঠা ফিরিয়ে আনেন আগের রূপে

রিদওয়ান আক্রাম ও রেজাউল করিম রেজা
রিদওয়ান আক্রাম ও রেজাউল করিম রেজা
শেয়ার
প্রাচীন সব দালানকোঠা ফিরিয়ে আনেন আগের রূপে
কুষ্টিয়ায় সংস্কার করা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারি বাড়ির সামনে আবুল কালাম আজাদ। ছবি : সংগৃহীত

আবুল কালাম আজাদের ফেসবুকের নাম ছিল নাটোর রাজমিস্ত্রি। এখন অবশ্য সেটা পরিবর্তন করে নিজের নামে রেখেছেন। কিন্তু তাঁর যে কাজ, তাতে রাজমিস্ত্রি শব্দটাই যেন বেশি যায়। তবে এখনকার রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে তাঁর মতো রাজমিস্ত্রিদের গুলিয়ে ফেললে মস্ত বড় ভুল হয়ে যাবে বৈকি! আর কেনই তা হবে না বলুন? বিষয়টা একটু না হয় খুলেই বলি।

রাজমিস্ত্রি শব্দটি এসেছে রাজমিস্ত্রি’—এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে। রাজ শব্দের অর্থ রাজা বা শাসক, যা ক্ষমতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। মিস্ত্রি শব্দটি এসেছে ফারসি মোস্তরি থেকে। আর এর অর্থ কারিগর বা শিল্পী।

প্রাচীনকালে প্রাসাদ, মন্দির এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হতো। আর এই কাজে দক্ষ কারিগরদের বলা হতো রাজমিস্ত্রি। অতএব বুঝতেই পারছেন, রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদ বানানো কারিগররা সাধারণ কেউ নন। তাঁরা বংশপরম্পরায় রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদই বানিয়েছেন।
আমাদের মতো সাধারণের বাড়িঘর নয়। ফলে রাজমিস্ত্রি শব্দটার একটা ওজন আছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এই শব্দ সাধারণ নির্মাণ শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়েছে, যারা এখন ইট, পাথর বা অন্যান্য উপাদান দিয়ে কাঠামো তৈরি করে থাকেন।

সেই সব রাজমিস্ত্রির উত্তরাধিকার বলা যেতে পারে আবুল কালাম আজাদকে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক কোনো দালানকোঠার সংস্কারের দরকার পড়লে ডাক পড়ে নাটোরের এই তরুণের।

আবুল কালাম আজাদের হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, কিন্তু আছে বংশপরম্পরায় জ্ঞান। সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ৩০০-৪০০ বছরের পুরনো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলোকে ফিরিয়ে দেন পুরনো রূপ। চুন-সুরকি ব্যবহার করে সেগুলো অবিকল রেখে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস সংরক্ষণ করাই তাঁর কাজ।

নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া মাঝপাড়া গ্রামের আলেফ রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। অর্থনৈতিক কারণে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর বন্ধ হয়ে যায় তাঁর লেখাপড়া পর্ব। তাঁদের পাশের গ্রামে থাকতেন বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হেডমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেন। ২০১৩ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর সহকারী হিসেবে শুরু করেন কাজ। ২০২২ সালে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনিই এখন হেডমিস্ত্রি। তাঁর রয়েছে ৮২ জনের একটি দক্ষ জনবল। তাঁরা চুন-সুরকি তৈরি করাসহ প্রাচীন আমলের ভবনগুলোকে প্রয়োজনে আংশিক ভেঙে অবিকল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেন।

কিভাবে এসব কাজ করেন আবুল কালাম আজাদ? তিনি বলেন, প্রথমে ভবন দেখে আমরা কাজগুলো বুঝে নিই। এরপর প্রত্নতত্ত্ব কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভবনগুলোর মূল কাঠামো অবিকৃত রেখে সংস্কারকাজ শুরু করি। কোনো নকশাও যাতে এদিক-ওদিক না হয়, সে বিষয়ে থাকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি। কোনো অংশ ভেঙে গেলে ডিজাইন করে হুবহু একই আকারে নতুন করে তৈরি করা হয়। অনেক ভবনের অলংকরণ জায়গায় জায়গায় ভেঙে পড়ে। সেগুলো যত্ন করে সেই আগের অবস্থায় আনা হয়। তবে এই কাজে বেশ ঝুঁকিও আছে। তেমনটাই জানালেন আবুল কালাম আজাদ, ১০০ ফুট উঁচুতে উঠে দেয়াল সংস্কারের কাজ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে কাজ করতে হয়। সব সময় সুরক্ষা বেল্ট বেঁধে কাজ করা যায় না। আগে হেডমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেন তো এমন উঁচু থেকে পড়ে গিয়েই মারা যান। আজাদ নিজেও একবার কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন।

তাহলে জীবনের এত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন কেন? উত্তরে তিনি জানালেন, জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করতে গিয়ে প্রত্নতত্ত্বকে ভালোবেসে ফেলেছেন। ইতিহাস জড়িয়ে থাকা এই প্রাচীন স্থাপনাগুলো সংস্কার করতে পেরে নিজে বেশ গর্বিত বোধ করেন। তখন মনে হয়, ইতিহাস সংরক্ষণে তাঁরও কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে।

নিজের কাজের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, সোনাগাঁওয়ের সর্দারবাড়ির সংস্কার থেকে শুরু করে কাজ করেছেন কুমিল্লার বাবুর পুকুরপাড়, লালবাগ কেল্লার হাম্মামখানা, কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ি, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগ রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ীসহ রাজশাহীতে পাঁচ-ছয়টি মন্দির, ঢাকার কারওয়ান বাজারের খাজা আম্বর মসজিদ, সুন্দরবনের শিখরটেক, চাঁদপুরের লোহাগড়া মঠ, নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজ, খুলনার কয়রা মসজিদ, বিজ্ঞানী পি সি রায়ের বাড়ি, জাফলং জৈন্তাপুর রাজবাড়ী, সুনামগঞ্জের তাহেরপুর রাজবাড়ি, বঙ্গবন্ধুর আদি বাড়ি, চাঁদপুরের লৌহগড়া জমিদারবাড়ি, বরিশাল লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, ঠাকুরগাঁও হরিপুর জমিদারবাড়ি প্রভৃতি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ