ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
অনন্য ভালোবাসা...

সেই বিমলার দুঃখ ঘোচাল সেনাবাহিনী

  • টি এম মামুন, বগুড়া
শেয়ার
সেই বিমলার দুঃখ ঘোচাল সেনাবাহিনী
৯০ বছর বয়সী বিমলা রানীর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন সেনা সদস্য। ছবি : কালের কণ্ঠ

বিমলা রানীর বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। মেরুদণ্ড সোজা করে আর আগের মতো পথ চলতে পারেন না। কানেও শুনতে পান না আগের মতো। ভালো করে দেখতেও পান না।

বেশির ভাগ সময়ই মন মলিন থাকে। স্বামী বেঁচে নেই। স্বামীর সঙ্গে কাটানো তাঁর নানা রঙের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বিমলা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
অসহায় হলেও সংগ্রামের মনোভাব তাঁকে পথ চলতে সহায়তা করেছিল। ফলে পথে শক্ত হয়ে চলার পণ থেকে টলেননি। স্বামীর মৃত্যুর পর তখন তাঁর আরো কাছের ধন তিন ছেলে। বড়, মেজো ও ছোট ছেলেকে বড় করে তুলতে বহু কষ্টের পথই পেরোতে হয়েছে তাঁকে।
তবু হাল ছাড়েননি। অনেক আদরে বড় করে তুলছিলেন তিন ছেলেকে।

এই বিমলার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার বড়কুমিরা হিন্দুপাড়ায়। তাঁর তিন ছেলের দুই জন কাঠমিস্ত্রি। আর অন্যজন দর্জির (সেলাই কারিগর) কাজ করেন।

মায়ের কঠোর শ্রমে বড় হওয়া এই সন্তানরা নিজেদের নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে মায়ের দিকে খেয়াল রাখার সময় তাঁদের থাকেনি। খেয়াল তো দূরের বিষয়, এক পর্যায়ে তাঁরা নিজের মমতাময়ী মাকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেন। বুড়ি মা কখনো থাকতেন বাড়ির কাছে বাঁশঝাড়ের নিচে, গাছের নিচে, পথের ধারে। মুখ ফুটে ছেলেদের কিছুই বলতে পারতেন না। তবে ভেতরে তাঁর ছিল বড় কষ্ট। নানা প্রশ্ন তাঁর সামনে এসে উপস্থিত হতো। ছেলেরা তাঁকে খাবারও দিতেন না। প্রতিবাদ করতে পারতেন না, কিছু বলতে পারতেন না। কিন্তু প্রতিবেশীরা এর প্রতিবাদ করতেন। কোনো কোনো দিন প্রতিবেশীরা বিমলাকে তাঁর ছেলেদের বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। কিন্তু হয়তো তার পরের দিনই বিমলাকে কোনো ছেলে বাড়ি থেকে আবার বের করে দিতেন। বিমলার এই দুরবস্থা, দুর্দশা চলে কিছুদিন। তবে এই অবস্থার পরিবর্তনে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা এই দুঃখিনী মায়ের দুঃখ ঘুচিয়েছেন।

সম্প্রতি বিমলা যখন পথের ধারে অবহেলায়, এর কয়েক দিনের মধ্যেই চোখ পড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের। সেনাবাহিনীর কাছে তথ্য যায় : সন্তানরা খেয়ে-পরে ভালো থাকলেও ঘরে ঠাঁই হচ্ছে না ৯০ বছর বয়সী বিমলা রানীর। দুই বেলা পেট ভরে খাবার জোটে না কোনো সন্তানের ঘরে। তাঁর জায়গা হয় কখনো বাড়ির কোণে, কখনো আবার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে। সমাজসেবা কার্যালয় থেকেও নেওয়া হয়নি তাঁর খোঁজ। এমন পরিস্থিতি জানতে পেরে সময় নষ্ট না করেই ছুটে যান সেনাবাহিনীর একদল সদস্য। তাঁরা পাশে দাঁড়ান বিমলা রানীর। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে পাওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে বড়কুমিরা হিন্দুপাড়ার ঘটনাস্থলে যান বগুড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা বিমলাকে উদ্ধার করে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেন। বিমলার কাছ থেকে সব কিছু জেনে নেন তাঁরা। তারপর প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরা বিমলাকে তাঁর ছেলেদের ঘরে তুলে দেন। এ সময় লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বয়োবৃদ্ধা বিমলার ছেলেদের সতর্কও করেন। মায়ের দিকে তাঁদের খেয়াল রাখতে বলেন। শুধু তাই নয়, বিমলাকে নিজের হাতে খাবার খাওয়ান তিনি। এই দৃশ্য দেখে প্রতিবেশীদের মধ্যে অফুরন্ত ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি। তখন তাঁরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিনম্রচিত্তে।

সেনাবাহিনীর সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মানবিক জায়গা থেকেই তাঁরা বিমলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বিমলার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। তাঁদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।

তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, বিমলা রানী ছেলের বাড়িতে ভালো আছেন। ইউএনও সদরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি ১৯ জুন ঘটনাস্থলে যাবেন এবং সম্ভাব্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াজেদ কালের কণ্ঠকে জানান, সদর সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে আগামী ১৯ জুন বিমলার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে সম্ভাব্য সরকারি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

৯০ বছর বয়সে বিমলা রানী বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। বার্ধক্যের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাঁর স্বাভাবিক চলাফেরা। এই অবস্থায় পথ থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি স্বস্তিতে আছেন। এলাকাবাসী বলছে, বিমলা রানীর দুঃখ ঘোচানোর জন্য বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ