ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে চার পৌর এলাকা

  • ঝিনাইদহ, মাগুরা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি
  • অর্থের অভাবে মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা হচ্ছে না
  • ঢাকার ১৩ ওয়ার্ড উচ্চঝুঁকিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে চার পৌর এলাকা
প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গতকাল রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

ঢাকার বাইরে পৌর এলাকাগুলোতে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সম্প্রতি চারটি পৌর এলাকায় জরিপ করে চারটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পেয়েছে। এই চার পৌর এলাকা হলো ঝিনাইদহ, মাগুরা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী।

গতকাল বুধবার বিকেলে আইইডিসিআর অডিটরিয়ামে আয়োজিত ডেঙ্গুর বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপ ২০২৪-২৫ অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, এডিস মশার উপস্থিতি জানতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম; মার্চে বরিশাল এবং বাকি এলাকাগুলোতে জরিপ পরিচালিত হয়েছে মে মাসে। কীটতত্ত্ববিদদের নেতৃত্বে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সভায় জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন। তিনি বলেন, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি হলো ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই)

এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানে সেখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিশ্চিতভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়। এ ছাড়া হাউস ইনডেক্স ১০-এর বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়।

জরিপে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ৬০ শতাংশ। এরপর মাগুরায় ৫৫.৫৬ শতাংশ, পিরোজপুরে ২০ শতাংশ ও পটুয়াখালীতে ১৯.২৬ শতাংশ, কৃষ্টিয়ায় ৭.৮৭ শতাংশ।

  তিন সিটি করোরেশন এলাকার মধ্যে চট্টগ্রামে ৫.৬২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৪.৭৯ শতাংশ ও বরিশালে ২.৫ শতাংশ।

পাঁচ পৌর এলাকার মধ্যে হাউস ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি মাগুরায়। এই পৌর এলাকায় গড় হাউস ইনডেক্স ৩৫.৫৬ শতাংশ। এরপর ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় ৩২.৯৬ শতাংশ। পটুয়াখালীতে ১৮.১৫ শতাংশ, পিরোজপুরে ১৪.৪৪ শতাংশ ও কুষ্টিয়ায় ৭.২৯ শতাংশ।

জরিপের কার্যক্রম পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ৪০টি ওয়ার্ডের ৮০০ বাড়ি, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার  ৩০টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি বাড়ি, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ৩২টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি বাড়িতে। পাঁচ পৌর এলাকার মধ্যে কুষ্টিয়ায় ২৫টি ওয়ার্ডের ৩৪৩ বাড়িতে। এ ছাড়া পিরোজপুরে, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ ও মাগুরা পৌরসভায় ৯ ওয়ার্ডের ২৭০টি বাড়িতে এ জরিপ চালানো হয়।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস ইজিপ্টি বেশি, তবে এটি পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। মাগুরা ও পিরোজপুরে ১০০ শতাংশ নমুনায় এডিস অ্যালবোপিক্টাস প্রজাতির মশা পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক ড্রাম, বাস্কেট ও দইয়ের খালি পাত্রে লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বহুতল ভবনে লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাগুলোতে একক বাসবভনে এডিসের লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে।

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, প্রকোপ শুরুর আগে থেকে স্থানীয় সরকারকে ব্যবস্থা নিতে মূলত এসব জরিপ চালানো হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারের কিছু দুর্বলতা আমরা দেখছি।

তিনি বলেন, এ বছর ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে বিশেষ করে দক্ষিণের জেলা বরগুনায় প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। সেখানে গবেষণা জরিপ চলমান রয়েছে। ফলাফল পেলে অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসাবাড়িতে বেশি পানি জমে রাখার আধিক্য এবং জেলাটিতে তুলনামূলক ডোবানালা বেশি হওয়ায় সংক্রমণের হার বেশি। সেখানে স্থানীয় সরকারের দুর্বলতা প্রকট।

ঢাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি : জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এর মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬.৬৭ শতাংশ; ২, ৮ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩.৩৩ শতাংশ এবং ১৩ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৩১ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬.৬৭ শতাংশ; ৩, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩.৩৩ শতাংশ এবং ৪ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত জরিপে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ফুলের টব ও ট্রেতে জমে থাকা পানিতে। জরিপে পাওয়া মোট লার্ভার ২৭ শতাংশই থাকে এসব পানিতে।

অর্থের অভাবে মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা হচ্ছে না : অর্থের অভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা (ডেথ রিভিউ) করতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে বেশি দিন মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করা সম্ভব নয়। তাই থেমে যেতে হয়েছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ